বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সরকার জনগণের ভোটের ওপর আস্থা হারিয়ে যন্ত্র নির্ভরশী হয়ে পড়ছে -চরমোনাই পীর

খুলনা অফিস : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশে ইসলামী অনুশাসন না থাকায় সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই, এমনকি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারটুকুও নেই। সন্ত্রাস, দুর্নীতি দুঃশাসন আমাদেরকে গ্রাস করে ফেলেছে। সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে নিপতিত। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় নগরীর জামেয়া রশিদিয়া গোয়ালখালী মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর উদ্দ্যোগে খুলনা ২ ও৩ নং আসনে ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও খুলনা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক এর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি শেখ মো. নাসির উদ্দিন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি আশরাফ আলী আকন, মাওলানা মজাফফর হুসাইন, মুফতী মাহবুুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা ইমরান হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম সজিব মোল্লা, মো. আবু গালিব, প্রচার সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম কাবির, মো. আব্দুর রশিদ, অর্থ সম্পাদক জিএম কিবরিয়া, দপ্তর সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম তুষার, মাওলানা আব্বাস আমিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ডা. আল আমিন এহসান, মুফতী আব্দুর রহমান মিয়াজী, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মো. হযরত আলী, আবু তাহের, মো. জসিম উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান, এডভোকেট কামাল হোসেন, মুফতী রবিউল ইসলাম রাফে, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা জাহিদুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম, যুব নেতা মো. ইসমাঈল হোসেন, মো. ইমরান হোসেন মিয়া, ছাত্র নেতা মো. হাসিব গোলদার, মুহা ইসহাক ফরীদি, মুহা. হাসানুজ্জামান, মুহা সাইফুল ইসলাম, এইচ এম খলিদ সাইফুল্লাহ, কাজী আল আমিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, বর্তমান চলমান গণতন্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা জনগণের শান্তি ও মুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের সড়কে চলছে মৃত্যুর মিছিল। মানুষ আজ হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। এ হাজারো সমস্যা সমাধানে ইসলামী শাসনব্যবস্থা দিতে পারে মানুষের শান্তি ও মুক্তির নিশ্চিয়তা। কাজেই দেশে স্থায়ী শান্তি ও মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিজয়ী করতে ৯২ ভাগ মুসলমানকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সরকার দলীয় আজ্ঞাবহ কমিশনে পরিণত করেছে। নির্বাচনের বর্তামন সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সকল দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনে সকল দলের সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে বিতর্কিত সংসদ ও সংসদ সদস্যদেরকে অবশ্যই ক্ষমতাহীন করতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বুঝা যাবে জনগণ আগামী নির্বাচনে কাদেরকে চায়। জণগণ আর জানতেন পাতানো নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় যেতে দেবে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ঠজনদের বিরোধীতায় পরও কেন আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইাভিএম ব্যবহারের পায়তারা করছে নির্বাচন কমিশন, তা আমাদের সহজেই অনুমেয়। দেশের জনগণের রায়ের প্রতি কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে ইভিএম জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করলে তা কারো জন্যই কল্যাণকর হবে না। সরকার জনগনের ভোটের উপর আস্থা হারিয়ে যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ