কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ ঘর ভস্মীভূত
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং চাকমারকুলস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বস্তির ১৪টি ঘর। মঙ্গলবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গ্যাস সিলিল্ডার বিস্ফোরণে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। খবর অনলাইন সংবাদ সংস্থা সমূহ।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে এ আগুন লাগে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত বড়ুয়া।
তিনি বলেন- পুড়ে যাওয়া ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বস্তির নিকটবর্তী এলাকা থেকেই সোমবার সকালে গলাকাটা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় রোহিঙ্গা তিন যুবককে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
ওসি রনজিত বড়ুয়া জানান, টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তি থেকে প্রায় কয়েক কিলোমিটার ভেতরে পাহাড়ে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা বস্তির ১৪টি ঘরে আগুন লাগে। এখানে প্রতিটি ঘরে দুটি করে কক্ষ ও এক কক্ষে একটি করে পরিবার বাস করতেন।বাঁশ, চট ও পলিথিনে তৈরি ঘরগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা লাগোয়াভাবে তৈরি করায় মুহূর্তেই সব ঘরে আগুন ছড়িয়ে যায়।
২৮টি পরিবারের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পরিধেয় বস্ত্র ও ত্রাণের খাদ্যদ্রব্য পুড়ে গেছে।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়েই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।২০-৩০ মিনিটের মধ্যে সব ঘর ভস্মীভূত হয়ে যায় বলে স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান। তারা জানান, আগুনে ঘর পুড়লেও কেউ হতাহত হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তিতে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভলান্টিয়ার মো. আবু ইয়াছেরকে (২২) গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার তিনদিন পর লেদা অনিবন্ধিত ক্যাম্পের অনতিদূরে চাকমারকূল পাহাড়ি এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিকটবর্তী এলাকা থেকে গলা কাটা জখম অবস্থায় রোহিঙ্গা তিন যুবককে উদ্ধার করে টেকনাফ থানা পুলিশ।