বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ছড়া

ফুলের মেয়ে তাসনিয়া

-সায়ীদ আবুবকর

একটি মেয়ে তাসনিয়া

ছিলো ফুলের চাষ নিয়া।

গোলাপ গাঁদা সূর্যমুখী

ফুটিয়ে সে ছিলো সুখী;

সুখী ছিলো দশ জনে তার

সেই ফুলের সুবাস নিয়া।

 

ফুলের মেয়ে তাসনিয়া

হাঁটতো কোলে হাঁস নিয়া।

তাই দেখে সব মোরগ এসে

কাঁধের পরে বসতো হেসে,

গরুগুলো থমকে যেতো

মুখে সবুজ ঘাস নিয়া।

 

হায়, সে মেয়ে তাসনিয়াÑ

কি যে হলো, হঠাৎ করে

চাঁদ ও তারার রাস্তা ধরে

ফুড়–ৎ করে উড়ে গেল

সবার দীর্ঘশ্বাস নিয়া।

 

রঙ-ফসিলের বর্ষা

-মাহফুজুর রহমান আখন্দ

টুপ্টুপাটুপ্ সবুজ পাতায়

ফুলের বাহার মনের খাতায়

ছাতার সাথে ভালোবাসার খেলা

ঝিল-নদীতে শালুক ফুলে

বৃষ্টি হাওয়ায় উঠছে দুলে

সঙ্গী তখন কলাগাছের ভেলা

 

খাল-পুকুরে অথৈ বানের পানি

ডুবলো বাড়ি ঘরের চালা

গরু ছাগল পোয়াল পালা

জিনিসপাতির চলছে টানাটানি

 

বর্ষা তবু স্বপ্ন দোয়েল

ভালোবাসার মাস

কেউবা এসে লুটায় মজা

কারো আবার ঘটায় সর্বনাশ।

 

জাগো মুমিন ভাই

-শেখ বিপ্লব হোসেন

রাত পোহালো আযান শোনো

জাগো মুমিন ভাই!

ওজু করে নামায পড়তে

মসজিদে যে যাই! 

 

নামাজ হলো আল্লাহ’র আদেশ

পাক কোরআনে বলে,

নামায ছাড়া কেমনে বলো

মানবজীবন চলে? 

 

নামায পড়লে আল্লাহ্ খুশি

রাসূল বাসবে ভালো,

আল্লাহ্’র নাম জপলে দিলে

হৃদয় হবে আলো।

 

নবীর পথে চললে সদা

জীবন সুখের হবে,

পরপারে অসীমসুখে

জান্নাতে যে রবে! 

 

মাছরাঙা

-শাহীন রায়হান

বুকটা সাদা পেটটা লাল

ডানা দুটি নীল

লম্বা ঠোঁট আর তীক্ষè চোখ

খোঁজে পুকুর বিল।

 

মাছ ছাড়া আর খায় না কিছু

মাছ খেয়ে হয় চাঙ্গা

মিষ্টি রঙের ছোট্ট পাখি

এ হল মাছরাঙা।

 

 

শরৎ রাণী

-তুষার কুমার সাহা

এলো দেশে রূপের রাণী

সাজলো আমার দেশ,

শিশির ভেজা পাতার ফাঁকে

ফুটলো শিউলি বেশ!

 

শীতল হাওয়া দেয় যে দোলা

সকাল হলে আজ,

কাশফুলেতে দেশ’টা আমার 

ধরলো নতুন সাজ।

 

শাপলা পদ্ম বিলের মাঝে

দেখতে যদি চাও,

রূপের রাণী শরৎ এলো

দাও গো বলে দাও।

 

আকাশ পানে কালো মেঘের

লুকোচুরি খেলা,

দিন’টা এখন কাটে আমার

শরৎ রাণীর বেলা।

 

 

শরৎ এলে 

-মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী

শরৎ এলে কাশবনটা যে

হাসে সাদা কাশে

বিলে ঝিলের স্বচ্ছ জলে

শাপলা-পদ্ম ভাসে।

 

আকাশ জুড়ে উড়ে বেড়ায়

শুভ্র মেঘের ভেলা

বনে বনে ফুলপাখিদের

বসে মিলন মেলা।

 

রাত আকাশের চাঁদ ও তারা

জোৎ¯œা ঝড়ায় খুব

ঋতুর রানী তাইতো শরৎ

লাগে অপরূপ!

 

 

শরৎ সাদাফুল

-আসাদউজ্জামান খান

নদীর পারে খালের পারে

শরৎ সাদাফুল

বালি এবং মাটি কামড়ে

রইছে গাছের মূল।

 

বাতাস এলে দোলে গাছে

শরৎ সাদাফুল

পানি থেকে দেখায় সুন্দর

খাল আর নদীর কূল।

 

সবখানেতে যায় উড়ে সে

শরৎ সাদাফুল

হেলেদুলে বাতাস তালে

উড়ায় সাদাচুল।

 

 

শরৎ ও কাশফুল

-আলাউদ্দিন হোসেন

বিলের পাড়ে নদীর ধারে

শরৎ বাঁজায় বাঁশি

শরৎ সূরে নেচে ওঠে

শুভ্রমাখা হাসি।

 

শরৎ বাঁশির অবাক সূরে

কাশবনেতে গান

শুভ্রমাখা হাসি যেন

শরতকালের প্রাণ।

 

শরৎ ভরা শুভ্র হাসি

কাশবনের গাঁয়

শরৎ বাঁশি হাসির সাথে

পাল্লা দিয়ে যায়। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ