বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

হাইকোর্টে রিট খারিজে সাতটি গ্রাম চৌগাছায় থাকতে বাধা নেই

রহিদুল ইসলাম খান, চৌগাছা (যশোর): ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সাতটি গ্রাম বিশ্বনাথপুর, শ্যামনগর, কমলাপুর, আলিশা, যদুনাথপুর, পাঁচবাড়িয়া ও রাড়িপাড়া মৌজাগুলি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায় অন্তুর্ভূক্ত হতে আর কোন বাধা রইল না। গত ১৭ জানুয়ারী ২০০৮ সালে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনটি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। তবে কোন পক্ষ বিষয়টি খোঁজ-খবর না নেয়ায় দির্ঘদিন রায়টি কার্যকরে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গত ১৩ আগস্ট স্থানীয়রা রায়ের কপিটি উত্তলোন করেছেন। যে কপিটি এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। রায়ের ফলে প্রশাসনিকভাবে মহেশপুর উপজেলায় এবং সেচ-বিদ্যুৎ ও শিক্ষা বিষয়ে চৌগাছা উপজেলার নিয়ন্ত্রণে থাকা সাতটি গ্রামের নাগরিকদের দ্বৈত শাসনের অবসান হতে চলেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং ‘নিকার’-এর ৮৬তম সভার কার্যবিবরণী থেকে জানাযায়, ২০০১ সালের ৯ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পূনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) এর ৮৬ তম বৈঠকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত, যশোর ও ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকদ্বয় এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের মতামত বিবেচনায় নিয়ে মহেশপুর উপজেলার অধীনে থাকা বিশ্বনাথপুর, শ্যামনগর, কমলাপুর, আলিশা, যদুনাথপুর, পাঁচবাড়িয়া ও রাড়িপাড়া এই সাত মৌজাকে চৌগাছা উপজেলায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ‘নিকারে’র এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মান্দার বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও মহেশপুরের মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রবিউল হোসেন সর্দার হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন (২৩৮০/২০০১) দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার খুলনা এবং যশোর ও ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকদ্বয়কে বিবাদী করা হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এমএ আজিজ ও বিচারপতি এস হুদার হাইকোর্ট বেঞ্চ ০৪.০৬.২০০১ তারিখে রুল জারী করেন। ফলে সাতটি গ্রামের চৌগাছা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া ঝুলে যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ