অঙ্গনা
তানিয়া আখতার : ঘটনা-১ : মমতা আজ তার বাবার বাড়িতে এসেছে। প্রতিবারেই বাবার বাড়িতে এলে তার পরিবারের সবাই অনেক খুশি হয়। কিন্তু আজ কেউ খুশি হয় নি তার এই আগমনে। কেননা সে তো আজ এসেছে শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুকের দায়ে ক্ষত বিক্ষত লাশ হয়ে!
ঘটনা-২ : লিপিকে আজ অফিস থেকে আসার পর স্বাভাবিক লাগছেনা। চোখমুখ ফুলে এক হয়ে গেছে। তার চেহারা অস্বভাবিক লাগলেও স্বাভাবিক ভাবেই সে ঘরের সব কাজগুলো করে চলছে। অফিসে তার সাথে হয়ে যাওয়া যৌন হয়রানির ঘটনা কাউকে টের পেতেই দেয় নি। এভাবেই কষ্টগুলো বুকে নিয়ে চলছে তার জীবন!
নারী-পুরুষ এর পারস্পরিক সহযোগিতায়, সম্মিলিত বসবাসেই গড়ে ওঠে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র। এক অংশকে ছাড়া অপর অংশ সম্পূর্ণ অচল।
আমাদের সমাজে পুরুষের অধিকার আদায়ে কোন র্যালি বা প্রতিবাদী সভার আয়োজন করতে হয়না। করতে হয় শুধু সেই হতভাগিনী নারীদের জন্য!
যে কোন রোগের ঔষধ যদি ঠিক জায়গায় না পড়ে, তবে রোগ যেমন কখনোই ভাল হবার নয়। তেমনি নারীর অধিকার, মর্যাদা প্রতিষ্ঠার কাজ যদি সঠিক দিক, দাবি ও পদ্ধতিকে সামনে রেখে না করা হয়, তবে এর সুফল লাভ করাও অসম্ভব।
ঘুরে ফিরে আসতে হয় সেই স্রষ্টা র বিশ্বাসে। আমি অবশ্য লিখি আস্তিকদের জন্য, নাস্তিকদের জন্য নয়। যে বিজ্ঞানী যে যন্ত্র আবিষ্কার করে সেই, সে যন্ত্রের সব ধরণের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে অধিক অবগত হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঠিক স্রষ্টাও তার বিশেষ সৃষ্টি মানুষ এর অবস্থা সম্পর্কে সর্বাধিক ওয়াকিফহাল।
নারী স্রষ্টার এক বিশেষ সৃষ্টি। যার মাঝে রয়েছে তুষার সমতুল শীতলতা, কখনোবা গ্রীষ্মের খড়া তাপে উত্তপ্ত বালুরাশির সমতুল উষ্ণতা। কখনোবা হঠাৎ কালো হয়ে ওঠা মেঘে ঢাকা আকাশ, কখনোবা ধবধবে সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে যাওয়া মায়াবিনী। (চলবে)