বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা আবার বাড়ছে--------------- জাতিসংঘ

১২ সেপ্টেম্বর, বিবিসি : মাঝে কমলেও জলবায়ুর চরমভাবাপন্ন রূপে বিশ্বে আবার বেড়ে চলেছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে বিশ্বনেতাদের এই বিষয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। ওই প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে বিশ্বের ৮২ কোটি ১০ লাখ মানুষ ছিল অপুষ্টির শিকার। অর্থাৎ বিশ্বের প্রতি নয় জন মানুষের একজন প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। আর পাঁচ বছর থেকে কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ১৫ কোটির দৈহিক স্বাভাবিক বিকাশ আটকে আছে পুষ্টিহীনতায়। এই সংখ্যা বিশ্বের মোট শিশুর ২২ শতাংশ।

এই প্রতিবেদন তৈরিতে যারা যুক্ত ছিলেন, তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগই  এই সঙ্কটের জন্য অনেকটা দায়ী। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল সম্মিলিতভাবে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠেছে, বেড়ে গেছে বন্যা, তাপদাহ, ঝড়, খরা। আর তা ক্ষুধা মেটানোর শস্য উৎপাদন ব্যাহত করছে। তারা বলছেন, যেসব দেশে শস্য উৎপাদন প্রধানত বৃষ্টির পানির উপর নির্ভরশীল, বৃষ্টিপাতের তারতম্য সেসব দেশে পরিস্থিতি চরম অবস্থায় পৌঁছেছে। এই সঙ্কট থেকে উত্তরণে বিশ্বের দেশগুলোর সমন্বিত চেষ্টা চালানোর উপর জোর দেওয়া হয় প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া অক্সফামের রবিন উইলোবি বিবিসিকে বলেন, “এটা খুবই হতাশাজনক যে বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমে আসার পর এখন পরপর তিন বছর তা আবার বাড়ছে।

 “এটা এখন স্পষ্ট যে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্বের অনেক মানুষকে তার পর্যাপ্ত খাবার পাওয়া থেকে বঞ্চিত রাখছে। যে সব দেশ বন্যা, খরা হচ্ছে, সেব দেশেই পরিস্থিতি ভয়াবহ।” জাতিসংঘের পরিসংখ্যান ক্ষুধাপীড়িত এই মানুষের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে মন্তব্য করে অক্সফাম কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের রাজনীতিকদের এখন জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় গরিব দেশগুলোকে সহায়তা দিতে হবে।”

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ