শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে মাগুরার সংকোচখালী গ্রামে ২০ বাড়িতে হামলা লুটপাট ৩ জন গ্রেফতার

মাগুরা সংবাদদাতা: মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের সংকোচখালী গ্রামে মঙ্গলবার ভোর রাতে ২০টি বাড়িতে অতর্কিত হামলাসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কার শেখের প্রবাসী ছেলে আমিনুর রহমান (৩০)কে সারা রাত বেঁধে পিটিয়ে মারাত্মত আহত করেছে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী পান্না লিয়াকত ডাকাতসহ আফসার এর দলীয় অনুসারীরা। ভোর রাতে সন্ত্রাসী পান্নার নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক হামলা চালায়। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় এ হামলা চালান হয় বলে এলাকাবাসী জানায়। হামলায় গোপালগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মসিউল আলম বাচ্চুও রেহাই পায়নি। সে মারাত্মক আহত হয়েছে। হামলার ঘটনা আগে জানতে পেরে এসব বাড়ির পুরুষ মানুষ আগের থেকে সরে থাকে। হামলাকারীরা পুরুষ মানুষ না পেয়ে বাড়িবাড়ি হামলা কলে ভাঙচুর ও লুটপাট করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। হামলায় আহত ব্যক্তিদেরকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। হামলার শিকার কাশেম শেখ এর ছেলে রিপন শেখ (৩০) জানান, তাদের ২ টি গরু বিক্রির ২ লাখ টাকা সিন্ধুক ভেঙ্গে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসী পান্নার দলবল। এছাড়াও তার ঘরের মোটর সাইকেল ভেঙ্গে চুরমার সহ গোয়ালের গরু নিয়ে গেছে। কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলারটিও তারা ভেঙ্গে রেখে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখা যায় সংকোচখালীর পশ্চিম পাড়া, মধ্য পাড়া ও পূর্ব পাড়ায় অধিকাংশ বাড়তে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিয়াম শেখ, হাফিজার শেখ, ফেলু ফকির, হাতেম খাঁ মুরাদ খাঁ, রানা শেখ, বাকি শেখ, শাহজাহান ফকির, সহ অন্তত ২০টি বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। গোপালগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানান, এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে সে আগেই স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। এলাকাবাসী জানান পুলিশ প্রশাসনকে আগে জানানো হলেও পদক্ষেপ না নেয়ায় এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, বাড়িতে বাড়িতে শীর্ষ সন্ত্রাসী পান্না, লিয়াকত ও আফসার দীর্ঘদিন ধরেই ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নিয়ে আসতেন। প্রতিবারের মত এবারও চাঁদা দাবী করায় গ্রামবাসী অস্বীকৃতি জানিয়ে জোট বদ্ধ হলে তাদের ওপর এই হামলা চালানো হয়। শত্রুজিৎপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ জাফর আহম্মেদ জানান, বর্তমানে এলাকাটি পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও এই হামলার ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ব্যাপারে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানার পরেই এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ