শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবি

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রপরিষদের উদ্যোগে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয় -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তারা এই দাবি জানায়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, হারুন অর রশিদ, সবুজ ভূঁইয়া, কামরুন নাহার ঝুমা, রিপা ইসলাম প্রমুখ। 

মানববন্ধন  কর্মসূচিতে বক্তব্যে সরকারের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার জোর দাবি জানায় সাধারণ ছাত্ররা। বক্তব্যে বলা হয়, গড় আয়ু যখন ৪৫ বছর ছিল, তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর, যখন ৫০ বছর ছাড়ালো, তখন প্রবেশের বয়স ৩০ হলো। বর্তমানে গড় আয়ু ৭১ হলে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কত হওয়া উচিত? ২২ লাখ চাকরিজীবীর বেতন তুলনামূলক হারে বাড়িয়ে পাশাপাশি ২২ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে এবং অবসরের বয়স ২ বছর না বাড়িয়ে সুযোগ করে দিলে কী এমন ক্ষতি হতো?

এ সময় সংগঠনটির আহ্বায়ক সঞ্জয় দাস বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর, এ সীমানা প্রাচীর বাংলাদেশের লাখো কোটি ছাত্র সমাজকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি বলেন,  উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুব সমাজ যখন উপেক্ষিত তখন বর্তমান রাষ্ট্রপতি স্পিকার থাকাবস্থায় ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে যুব সমাজ আশার আলো দেখেছিল।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২১তম বৈঠকে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করা সুপারিশ করে। নবম জাতীয় সংসদে ১৪তম অধিবেশনে ৩৫ বছর করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। সেই থেকে বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, এই দাবিতে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি হতে প্রেসক্লাবের সামনে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। সরকার এরপরও দাবি না মানলে পরবর্তীতে আমরা আরও কর্মসূচি দিব। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ