ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পেলেন ইরাকের নাদিয়া মুরাদ ও কঙ্গোর ডেনিস মুকওয়েজ

ইরাকের কুর্দি মানবাধিকার কর্মী নাদিয়া মুরাদ (বাম পাশে) ও কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েজ (ডান পাশে)

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:

যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে কাজ করে শান্তিতে এবছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইরাকের মানবাধিকার কর্মী নাদিয়া মুরাদ ও কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েজ।

শুক্রবার নরওয়ের নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেলজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে।

যুদ্ধের সময় অস্ত্র হিসেবে যৌন সন্ত্রাস বন্ধে প্রচেষ্টার জন্য তাদেরকে মর্যাদাপূর্ণ নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।

আগামী ১০ ডিসেম্বর অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।  

৯ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (১.০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পুরস্কারের অর্থ ভাগাভাগি করে নেবেন তারা।

ইরাকের মানবাধিকার কর্মী নাদিয়া মুরাদ ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেন। ইসলামিক স্টেট গ্রুপের (আইএস) জঙ্গিরা তাকে বন্দী করে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে।

অন্যদিকে যৌন সহিংসতার শিকার কয়েক হাজার মানুষকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন কঙ্গোর গাইনি চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েজ। এজন্য তাকে কঙ্গো সরকার সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়।

নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসন বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাদিয়া মুরাদ-ডেনিস মুকওয়েজ জুটির ভূমিকা ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ ছিল।

এই বছর বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনীত হয়েছিল।

আগামী ৮ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। বিতর্কের কারণে চলতি বছর সাহিত্যে কোনো নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে না।

প্রসঙ্গত, ১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। তারও আগে ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪ শতাংশ (তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার) অর্থ দিয়ে উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন।

সেই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। পরে ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।-ইউএনবি

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ