শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রবীণদের সুরক্ষায় আইন ও সচেতনতা জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে এখন ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। যাদের বেশিরভাগই বার্ধক্যজনিত ছাড়াও স্বাস্থ্যগত, সামাজিক, পারিবারিক ও অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার ও সমাজ ব্যর্থ। এ অবস্থায় প্রবীণদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন ও সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০১৮ উপলক্ষে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘ ফোরাম ফর দ্য রাইটস অব দ্য এল্ডারলি, বাংলাদেশ (এফআরইবি)’ নামের একটি সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, হেলপএইজ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাবেয়া সুলতানা, এফআরইবি’র সহ-সভাপতি ও গবেষক ড. শরীফা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন এফআরইবি’র মহাসচিব আবুল হাসিব খান।
সভার প্রধান অতিথি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ২০১৩ সালে মন্ত্রিপরিষদে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা পাস হয়। কিন্তু পাঁচ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা প্রবীণদের মৌলিক অধিকার দিতে ব্যর্থ হয়েছি। এখন আইন করে এ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাই প্রবীণদের সুরক্ষায় দ্রুত আইন প্রণয়ন জরুরি।
প্রবীণদের প্রতি সমাজ ও রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর পরামর্শ দিয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ৪০ লাখ প্রবীণ ভাতা পাচ্ছেন। এটিকে কেন ভাতা বলা হয়? তারা কেন ভাতা পাবেন; তাদের সম্মানি দিতে হবে। পুনর্বাসনকে আর্থিক অনুদান বা সহযোগিতা না বলে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে বলতে হবে। তিনি আরও বলেন, আজকে যারা তরুণ-যুবক, তারাও এক সময় প্রবীণ হবে। তাই প্রবীণদের সুরক্ষায় সব বয়সের মানুষকে এগিয়ে আশা প্রয়োজন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সমাজে প্রবীণ ব্যক্তিদের প্রতি ইতিবাচক মানসিকতা গড়তে প্রবীণবান্ধব সমাজ গড়তে হবে। এ দেশের প্রবীণদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে অগণিত সমস্যার মধ্যে স্বাস্থ্যগত, বার্ধক্যজনিত, সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও একাকিত্ব সমস্যা উল্লেখযোগ্য। তারা আরও বলেন, প্রবীণদের সঙ্গ দেয়া, তাদের সামাজিকভাবে মূল্যায়ন ও সম্মান জানানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যাতে করে তারা একটু ভালো থাকতে পারেন। তবে পেনশন, বয়স্ক ভাতা, ক্ষুদ্রঋণ, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি সুবিধাদি চালু করা হলে প্রবীণরা কিছুটা সুবিধা পাবেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ