যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের এক্স- রে মেশিন ১২ বছর ধরে নষ্ট
চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা : যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে প্রায় এক যুগ ধরে এক্স-রে মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রোগীরা বেসরকারি কিনিক কিংবা হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
সূত্র জানিয়েছে, যশোর শহরের বেজপাড়ায় অবস্থিত বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটি জনবল সংকটের পাশাপাশি চরম অবহেলিত। ছাদ না থাকায় মরিচাপড়া টিনের ছাউনি দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। সংস্কার হয় না বছরের পর বছর। ১৭ জনবলের ভেতর রয়েছেন ১২ জন। এমনিতে যেখানে চিকিৎসা সেবার সংকট রয়েছে, তারপরও বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে এক্স-রে মেশিনকে কেন্দ্র করে। এ কিনিকে প্রতিদিন ৩০/৩৫ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেন। বক্ষব্যাধি কনসালটেন্ট না থাকলেও একজন মেডিকেল অফিসার রোগীদের কোন রকম চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ, যক্ষ্মা রোগীদের জন্য ওই কিনিকে এক্স-রে করার দরকার হলেও রোগীরা আদৌ এক্স-রে করতে পারছেন না। কারণ বক্ষব্যাধি কিনিকের এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ ১১ বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। ২০০৭ সালে কোরিয়ার তৈরি লিসটম ৩০০ এমএ নামে একটি অত্যাধুুনিক এক্স-রে মেশিন সরকার থেকে সরবরাহ করা হয় যশোর বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে। এ এক্স-রে মেশিন দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল যক্ষ্মা রোগীরা কম খরচে বুকের এক্স-রে করতে পারবেন। সেখানে এক্স-রে করার মধ্য দিয়ে তারা যক্ষ্মা রোগের পরিস্থিতি নির্ণয় ও চিকিৎসা নিতে পারবেন। সরকারিভাবে এক্স-রে করতে ৭০ টাকা থেকে ১শ’ ৪০ টাকা খরচ হয়।
অপরদিকে, বাইরের কিনিকে খরচ পড়ে ৩শ’ টাকা। বক্ষব্যাধি কিনিকের এক্স-রে মেশিনটি বছরের পর বছর ধরে অচল অবস্থায় রয়েছে। অথচ, মেরামত করা হচ্ছে না। ফলে রোগীরা সেখান থেকে এক্স-রে করতে পারছেন না। বাইরের বেসরকারি কিনিক কিংবা হসপিটাল থেকে এক্স-রে করে আনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে। এতে সরকার একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছেন, অন্যদিকে রোগীরাও আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ডাঃ পলাশ কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করে এক্স-রে মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, এক্স-রে মেশিন মেরামত কিংবা নতুন মেশিন দেয়ার জন্য উপরে লেখা হয়েছে। কিন্তু কোন উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।