ঢাকা, শুক্রবার 19 April 2024, ০৬ বৈশাখ ১৪৩০, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গ্রেফতার

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির ঘটনায় রংপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দায়ের করা মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ব্যারিস্টার মইনুলকে রংপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে নেয়া হবে।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’

মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’

পরবর্তীতে বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, ''আমি ভাবতেই পারিনা কোন সাংবাদিক আমাকে এভাবে অপমান করে প্রশ্ন করতে পারে। আমি কি বাংলাদেশে এতটাই অপরিচিত যে, জামাতের এজেন্ট হয়ে আমাকে ঐক্য-প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে?"

এ ঘটনায় গত রোববার ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। একই অভিযোগ এনে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আরেকটি মামলা হয়। যদিও মামলা দু’টিতে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন ব্যারিস্টার মইনুল। তবে সোমবারও তার বিরুদ্ধে রংপুরসহ চারজেলায় মামলা হয়।

এদিকে এসব মামলা সম্পর্কে বিবিসিকে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে করা দুটি মানহানির মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তিনি বিবিসিকে বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছেন বলেই সরকার দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

তাই এই ধরনের মামলার জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন বলেই জানান। তবে মামলার আদালত থেকে তিনি জামিন নিয়েছেন।

"আমাদের দেশে মামলা দেওয়াটা এখন রাজনীতির অংশ হয়ে গিয়েছে। এখনকার রাজনীতি হলো মামলা দিয়ে, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা," বলছেন তিনি, "এর পেছনেও সে ধরনের কিছু একটা আছে। দেখুন, একটা মামলা দায়ের করেছে আওয়ামী লীগের মহিলা শাখা, অন্যটি মহিলা নিজে।"

তিনি আরো বলেন, তিনি 'চরিত্রহীন' বলতে মাসুদা ভাট্টিকে ব্যক্তিগতভাবে ইঙ্গিত করেন নি। তিনি তার সাংবাদিকতার চরিত্রটিকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তবু তিনি এই ঘটনার জন্য অনুতপ্ত বলেও জানিয়েছিলেন।আর সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিও বলেছিলেন, অনুতপ্ত হলে তিনি মামলা তুলে নিবেন।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার পর সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

-এএইচ

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ