ঢাকা, শনিবার 20 April 2024, ০৭ বৈশাখ ১৪৩০, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

বিরোধীদের দাবি অগ্রাহ্য, ৮ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবী অগ্রাহ্য করে আগামী ৮ নবেম্বর  বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওই দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে তফসিল ঘোষণা করবেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত ৪৫ দিনের মতো সময় পাবেন প্রার্থীরা। 

গতকাল রোববার কমিশন সভা শেষে কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই একাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের দিন পর্যন্ত ৪৫ দিনের মতো সময় পাবেন প্রার্থীরা। এ হিসেবে আগামী ২০ অথবা ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সংসদ বহাল থাকবে এবং সংসদ সদস্যরাও স্বপদে বহাল থাকবেন। নতুন কোন সিদ্ধান্ত না নেয়া হলে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না? এ বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কোন ঘোষণা আসেনি। এ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তও নিয়েছে ইসি। আর এ জন্য গতকালই ইভিএম ব্যবহারের বিধিমালা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে কতটি আসনে ইভিএম হবে তা বলা হয়নি।

তফসিল ঘোষণা সর্ম্পকে শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, কমিশন সভায় ৮ নবেম্বর তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই দিন কোনও এক সময় সিইসি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করবেন। তবে, ঘোষণা অপরাহ্নে হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান শাহাদত চৌধুরী।

এক প্রশ্নের জবাবে শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের ৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল। তবে, সব কিছু বিচার-বিবেচনা করে আমরা ৮ তারিখে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তফসিল ও ভোটগ্রহণের মধ্যে কত দিন ব্যবধান হবে এমন প্রশ্নের জবাবে শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, একটা স্ট্যা-ার্ন্ড সময় অনুযায়ী আমরা ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করবো। এটা ৪৫ দিনের কাছাকাছি হতে পারে।

গতকাল রোববার বিকাল পৌনে ৬টায় সিইসি কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংসদ নির্বাচনে সেনাবহিনী মোতায়েনের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও শাহাদত হোসেন চৌধুরী জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে কতগুলো আসনে হবে তা সিদ্ধান্ত হয়নি।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধিমালা চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার দাবি জানায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এজন্য গত শনিবার বিকেলে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর একটি চিঠিও দেয়। আবারও সীমিত পরিসরে সংলাপের জন্য গতকাল আওয়ামী লীগের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসার লক্ষ্যে ফের ছোট পরিসরে আলোচনায় বসতে আওয়ামী লীগ রাজি। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে অগ্রগতি আছে, তারা চাইলে ছোট পরিসরে আবারও আলোচনা হতে পারে। সংলাপে তারা তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছে, আলোচনা হয়েছে। সভা-সমাবেশের অধিকারসহ অনেক দাবি মেনেও নেওয়া হয়েছে।

সেই সংলাপ হওয়ার আগেই গতকাল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ ঠিক করল নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ করতে চায় ইসি। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বিধান রয়েছে।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ