সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজেদের অনুকূলে ব্যবহার করছে: রিজভী
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্কাইপি বন্ধ করে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সরকার নিয়ন্ত্রিত বিটিআরসি ইন্টারভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম স্কাইপির সেবা বন্ধ করে দিয়ে এক ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।”
সোমবার রাত ১০টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, “ইতোমধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানস্থ কার্যালয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক সকল যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন সাহেব বলেছেন- বিএনপি’র মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। তার এই বক্তব্যের পরপরই সরকার নিয়ন্ত্রিত বিটিআরসি কর্তৃক স্কাইপি বন্ধ করে দেয়াতে আবারও প্রমাণিত হলো-নির্বাচনী মাঠ আওয়ামী জোটের একচেটিয়া দখলে থাকবে।”
রিজভী আরও বলেন, “বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নমিনেশন প্রত্যাশীদের সাথে স্কাইপিতে কথা বলা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়। কমিশন সচিব এ বিষয়টি নিশ্চিত করার পরও তড়িঘড়ি করে বিটিআরসি-কে দিয়ে স্কাইপি বন্ধ করে দেয়া সরকারের নিম্নরুচির পরিচায়ক। সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিজেদের অনুকূলে নেয়ার জন্য ক্লান্তিহীনভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। বিএনপি’র নির্বাচনী প্রক্রিয়ার তৎপরতাকে বাধা প্রদান করার জন্য সরকার সবধরনের শক্তি প্রয়োগ করছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক সকল যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করতেই স্কাইপি বন্ধ করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আওয়াজ ভেসে উঠলেই সরকার মূর্ছা যায়, আর সেজন্যই দুর থেকে ভেসে আসা শব্দকেও আটকানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে।”
রিজভী বলেন, “সরকার কর্তৃক তারেক রহমানের কণ্ঠের আওয়াজকে বাধা দেয়ার অর্থই হচ্ছে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা। আর এজন্য স্কাইপি বন্ধ করা হয়েছে। আসলে সরকার বলপ্রয়োগ করেই ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে, জনগণের সমর্থন নিয়ে নয়।”
এসময় তিনি সরকারের এই ন্যক্কারজনক সংকীর্ণ মানসিকতার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে অবিলম্বে ইন্টারভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম স্কাইপি খুলে দেয়ার আহ্বান জানান।