মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

যুক্তফ্রন্ট ও কপের বিজয়ে মওলানা ভাসানীর ভূমিকা

জিবলু রহমান : [ছয়]
আইয়ুব শাসনামলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে তার সাফল্যের অন্যতম উপাদান ধরা হয়, যা একই সঙ্গে আয়বৈষম্য প্রকট করেছিল। পাকিস্তানের ২০টি পরিবারের হাতে জাতির সব সম্পদ কুক্ষিগত হয়েছে। অন্যায়ভাবে পাহাড়সম সম্পদের মালিক হয়েছে এ পরিবারগুলো, যা বাকিদের দরিদ্র, ক্ষুধার্ত ও রিক্ত করেছিল। যদিও অর্থনৈতিক বাস্তবতা এখনকার মতো এতটা চাকচিক্যপূর্ণ না হলেও সে অর্থে নিরস ছিল না। আইয়ুব খানের নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল টিকে থাকা। তিনি শাসনব্যবস্থায় ধর্মীয় মৌলবাদের বীজ বুনেছিলেন এবং ফাতেমা জিন্নাহর বিরুদ্ধে সমর্থন আদায়ের  চেষ্টা করেছিলেন।  
প্রচার-অপপ্রচার যাই হোক, সেসময়ে ফাতেমার জনসমর্থন থেকে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে ফাতেমা জিন্নাহই বিজয়ী হতেন। ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে শুধু ন্যাপ-ভাসানী, আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয়নি, জামায়াতে ইসলামিসহ বিভিন্ন ইসলামপন্থী দলও তাঁকে সমর্থন দেয়। আরও উল্লেখ করবার মতো বিষয় হচ্ছে যে, ‘ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম’ এই আইয়ুবি প্রচারণার জবাবে মরহুম মাওলানা আশরাফ আলী থানভী, মরহুম মাওলানা সৈয়দ সোলেমান নদভী, মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ শফী, মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী, মাওলানা আতাহার আলী, মাওলানা শামছুল হক (ফরিদপুরী), মাওলানা নুর মোহাম্মদ আযমী, মাওলানা তাজুল ইসলাম, শর্ষিনার পীর শাহ মাওলানা মোহাম্মদ ছিদ্দিক, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম তখন নারী নেতৃত্বের পক্ষে বিবৃতি দেন।
হজরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রা.) বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থা তিন প্রকার-রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও গণতন্ত্র। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সদস্যদের সমবায়ে গঠিত পরিষদই রাষ্ট্রের প্রকৃত শাসনকর্তা। রাষ্ট্রপ্রধান এ পরিষদের একজন সদস্য মাত্র। তিনি জাতি কর্তৃক মনোনীত বা নির্বাচিত হলেও তার পূর্ণ কর্তৃত্ব এখানে নাই। প্রকৃত প্রস্তাবে তিনিও পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের মতো একজন পরামর্শদাতা মাত্র যদিও তার মত অন্যান্য একক সদস্যের মতের তুলনায় অগ্রাধিকার লাভ করে থাকে তথাপি এতে পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় না। যদি তাই হতো তবে অন্যান্য সদস্যদের সমবেত মতের বিরুদ্ধে তার মতামতই প্রাধান্য লাভ করতো; কিন্তু বাস্তবে তা কখনও হয় না।’
কোরআন মজিদে হজরত বিলকিসের রাজত্ব কাহিনী বর্ণনা প্রসঙ্গে তাঁর কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘‘মা কুনতু কাতেয়াতান আমরান হাত্তা তাশহাদুন’’ অর্থাৎ বিলকিস তার সভাসদগণকে বলেন, “আপনাদের উপস্থিতি ব্যতীত আমি কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না’’- এ উক্তি থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে সে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় পদ্ধতি শাসনতন্ত্র অনুসারেই হোক বা বিলকিসের স্বাভাবিক অনুসৃত রীতি অনুসারেই হউক গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অনুরূপই ছিল। হজরত বিলকিসের মুসলমান হবার পর তার রাষ্ট্রাধিকার কেড়ে নেবার কোনো প্রমাণ নেই বরং তাঁর রাজ্য যে আগের মতোই বহাল ছিল, ইতিহাসের তার যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। বিলকিসের রাজত্বে ও রাজ্য শাসন পদ্ধতির প্রতি কোরআনে কোনোরূপ অবজ্ঞা ও অসমর্থন জ্ঞাপন করা হয়নি। উসুলে ফেকাহর সুবিধিত বিধান হচ্ছে, কোরআন বা হাদিসে যদি অতীতের কোনো ঘটনা বা ব্যবস্থাকে কোনরূপ অবজ্ঞা বা অসমর্থন প্রকাশ না করে বর্ণনা করা হয় তবে তা শরীয়তে প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হতে পারে। সুতরাং বর্ণনা থেকে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মহিলার নেতৃত্ব চলিতে পারে। (সূত্র : দৈনিক আজাদ ২২ অক্টোবর ১৯৬৪)
মাওলানা সৈয়দ সোলেমান নদভী বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালনের জন্য ইসলাম যেসব শর্তারোপ করেছে তা পালন করা কোনো মহিলার পক্ষে দুঃসাধ্য। এ জন্যই নারী জাতিকে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু এই একমাত্র কারণে যদি কেহ মনে করেন যে কোনো অবস্থায়ই মহিলা মুসলমানদের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতে পারেন না, তবে তা ভুল হবে। কারণ যখন জাতি কোনো ফেতনা-ফাসাদের সম্মুখীন হয় এবং সে ফেতনা থেকে রক্ষা করতে পারে এমন কোনো ব্যক্তিত্ব জনগণের দৃষ্টিতে কোনো মহিলা ব্যতীত আর না থাকে, তবে উক্ত মহিলাকেই জাতির নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে।
হজরত মাওলানা মুফতী মোহাম্মদ শফী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মহিলা রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া ইসলামী শিক্ষা ও ঐতিহ্যের খেলাপ নহে।’ (সূত্র : দৈনিক জঙ্গ ৩ নভেম্বর ১৯৬৪)
২৯ নভেম্বর ১৯৬৮ পল্টন ময়দানে প্রদত্ত বক্তৃতা হজরত মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী বলেন, ‘এখন আমি এমন একটি বিষয়ে বলবো, যা খুব জোরে-শোরে তোলা হচ্ছে এবং কিছুসংখ্যক আলেম ও পীরদের দ্বারাও যা লোকসমক্ষে প্রচার করানো হচ্ছে-তা হলো রাষ্ট্রপ্রধান মহিলাকে নিযুক্ত করা। বলা হচ্ছে যে, ইসলামে কোনো নারীকে মুসলমানদের নেতা বা রাষ্ট্রপ্রধান বানানো যায় না। এই ব্যাপারে বিশেষ করে আমার লেখা বই থেকে নানা উদ্ধৃতি পেশ করা হচ্ছে। আর আমি সময় ও সুযোগ দেখে ইসলামের নীতি পরিবর্তন করে ফেলি বলে আমার নামে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এর জওয়াবে আমি অবশ্যই জিজ্ঞেস করতে পারি যে, ইসলামের দৃষ্টিতে নারীকে মন্ত্রী ও পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি এবং বিদেশে রাষ্ট্রদূত বানানো যায় কি? ছেলে ও মেয়েদের সহ-শিক্ষা ব্যবস্থা কি ইসলামসম্মত? পুরুষ ও মেয়েলোকের একত্রিত হয়ে একই অফিসে কাজ করা কি জায়েজ? স্টেজে নেমে মেয়েদের নাচ, গান করা কি ইসলাম সমর্থন করে? উড়োজাহাজে যুবতি মেয়েরা সেবিকা হয়ে পুরুষ যাত্রীদের মধ্যে মদ পরিবেশন করে, তা কি জায়েজ। আর এসব যদি নাজায়েজ কাজই হবে, তাহলে আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশ মেনে কাজ করা হয়নি কেন? এ সব ব্যাপারে ইসলামের কথা স্মরণ করা হয়নি কেন? আর আজ নারীর রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার প্রশ্নেই কেবল ইসলামের দোহাই দেয়া হয় কেন? এ হচ্ছে পাল্টা প্রশ্ন। এর পরে আমি আসল বিষয়ে শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি আপনাদের সামনে পেশ করছি।
একথা সর্ববাদীসম্মত যে, ইসলামে রাজনীতি আর রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপ নীতিগতভাবে পুরুষদের কর্মক্ষেত্রের আওতার মধ্যে রাখা হয়েছে, এসবের দায়িত্ব পালনে মেয়েলোকদের শরিক করা হয়নি। মুসলমানদের আমীর বা নেতা হবার জন্যে যেসব শর্ত করা হয়েছে তার মধ্যে পুরুষ হওয়াটা একটা শর্ত, একথা অস্বীকার করা যায় না। আমি নিজেই এ বিষয়ে দলিল-প্রমাণ সহকারে বলিষ্ঠভাবে ইতিপূর্বে কয়েকবারই বলেছি, আর আজও আমি এই কথারই পুর্নঘোষণা করছি।
কিন্তু বর্তমান মুহূর্তে আমাদের সামনে বিষয়টি এ সাদাসিধেভাবে উপস্থিত হয়নি যে, নারী মুসলমানদের আমীর হতে পারে কিনা তা নিয়েই আমরা মাথা ঘামাতে বসবো। বরং আমরা বর্তমানে এক বিশেষ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে আছি, তা হচ্ছে এই :
দেশে এক জবরদস্তিমূলক অত্যাচারী ও স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা চালু হয়ে রয়েছে, তা আমাদের ধর্ম, চরিত্র, তাহজীব-তামাদ্দুন, অর্থনীতির পক্ষে অত্যন্ত মারাত্মক। এ ধরনের শাসনব্যবস্থাকে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় পরিবর্তন করার জন্য আগামী নির্বাচনে খোদার দেয়া এক মহা সুযোগ পাচ্ছি। দেশে মুহতারিমা ফাতিমা জিন্নাহ ব্যতীত অপর কোনো ব্যক্তিত্ব এমন নেই যাকে কেন্দ্র করে দেশের বিরাটসংখ্যক লোক একত্রিত হতে পারে, আর নির্বাচনে সফলতা লাভ করতে পারে ও এই উপায়ে বর্তমান স্বৈরতন্ত্রী জালেম শাসন ব্যবস্থাকে খতম করে দেয়ার কোন সম্ভাবনা হতে পারে। মুহতারিমা ফাতিমা জিন্নাহর প্রার্থী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের সাধারণ জনতা তার সমর্থনে কোমর বেধে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তার পরিবর্তে অপর কোনো ব্যক্তিকে দাঁড় করানো কিংবা এই নির্বাচনী সংগ্রামে নিরপেক্ষ থাকার মানে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানকেই সাহায্য করা।
এমতাবস্থায় আমাদের সামনে আসল প্রশ্ন হচ্ছে যে, একজন মেয়েলোকের রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া কি শরীয়তে এতই আপত্তিকর যে তাকে সমর্থন না করে তার বিপরীত বর্তমান জবরদস্তি আর অত্যাচার জুলুমের শাসনকে মেনে নিতে হবে? আমার মতে, ইসলামী শরীয়ত সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান রাখে এমন কোনো ব্যক্তিই বলতে পারে না যে, একজন নারীকে রাষ্ট্রপ্রধান করার পরিবর্তে এই স্বৈরাচারী ও জালেম শাসনকে কবুল করা উচিত। বরং আমি তো বলবো, একজন নারীকে রাষ্ট্রপ্রধান বানানো যদি এক আনা দোষের কাজ হয় তা’হলে তার মোকাবিলায় বর্তমান অত্যাচারী ও জালেম শাসনকে বাঁচিয়ে রাখলে কমপক্ষে দশগুণ বেশি গুনাহ হবে। আর খোদার শরিয়ত তো অনেক বড়, সাধারণ জ্ঞান-বুদ্ধির একটি বালকও এক টাকা বাঁচানোর জন্য দশ টাকার ক্ষতি স্বীকার করাকে পছন্দ করতে পারে না। এছাড়া, একথাও মনে রাখতে হবে যে, ইসলামের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্রধান পুরুষ হওয়া একটি শর্ত বটে, কিন্তু নারীর রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া ইসলামী শরিয়তে সম্পূর্ণ হারাম-এমন হারাম যে, অত্যন্ত ও সাংঘাতিক প্রয়োজন দেখা দিলেও তা জায়েজ হবে না, এমন কথা কেউই বলতে পারে না। কোরআন-হাদিস থেকে যদি কেউ তা প্রমাণ করতে পারেন তবে করুণ, আমরাও দেখবো। আসলে ইসলামের সাধারণ নিয়মের মধ্যে আমরা কোনোই পরিবর্তন করছি না, না তার কোনো সংশোধন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু বর্তমানের এই বিশেষ ধরনের অবস্থার কতিপয় প্রয়োজন দেখা দেওয়ার কারণে একজন মহিলাকে রাষ্ট্রপ্রধান করা জায়েজ মনে করছি মাত্র। কেননা, এ কাজ যে চূড়ান্ত ও স্থায়ীভাবে হারাম-এ কথা প্রমাণ করার কোনো দলিলই আমরা শরীয়তে পাইনি, এখন একজন নারীকে যদি আমরা মেনে না নেই, তা’হলে তার অপেক্ষা বহুগুণ বেশি বড় অন্যায়কে মেনে নিতে হয় এবং তা এত বড় যে, শুধু নৈতিক দৃষ্টিতেই নয়, ইসলামের দৃষ্টিতেও তা অত্যন্ত বড় অন্যায় কাজ হয়ে পড়ে। এর পরেও প্রশ্ন থেকে যায়। তা হচ্ছে এই যে ইসলামে রাষ্ট্রপ্রধানের জন্যে কেবল পুরুষ হওয়াই কি একমাত্র শর্ত? না এগুলোর সঙ্গে আরো অনেক কয়টি শর্ত আছে? কোনো এক বিশেষ সময়ে আমাদের সামনে যদি দুই ব্যক্তির মধ্যে একজনকে গ্রহণ করার প্রশ্ন দেখা দেয়, দুজনের একজনকে অনিবার্যভাবে কবুল করে নিতে হয়, আর তাদের একজনের মধ্যে কেবল নারী হওয়া ছাড়া অন্য কোন আপত্তিকর জিনিস না থাকে এবং অপর জনের মধ্যে কেবল পুরুষ হওয়া ছাড়া অন্য সব দিকই হয় মারাত্মকভাবে আপত্তিকর, তা’হলে ইসলামের জ্ঞানসম্পন্ন কোন ব্যক্তি কি আমাদিগকে নারীকে গ্রহণ না করে পুরুষকেই গ্রহণ করার জন্যে বলতে পারে?
ভাইগণ, নারীর রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া সংক্রান্ত বিষয়ের শরীয়তের দৃষ্টিতে এ-ই হচ্ছে প্রকৃত অবস্থা। এই কারণেই আমরা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুহতারিমা ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমতাবস্থায় আমি দেশবাসীর নিকট আকুল আবেদন করতে চাই, আপনারা দেশের অধিবাসীরা-কেউই যেন এই নাজুক ও জটিল সংকটের সময় গাফিল হয়ে বসে না থাকেন-এই সুবর্ণ সুযোগকে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে কাটিয়ে না দেন। খুব শান্তভাবে ঠান্ডা মনে চিন্তা করে ফয়সালা করুন। বিগত ছয় বছর ধরে দেশবাসী যে অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, নিষ্পেষণের তলে নিষ্পেষিত হচ্ছে তাকেই কি স্থায়ী করে রাখতে চান? না, একে পরিবর্তন করে এমন এক শাসনব্যবস্থা কায়েম করার ইচ্ছা রাখেন, যাতে দেশবাসী এক স্বাধীন মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে জীবনযাপন করার সুযোগ পাবে ও নিজেদের যাবতীয় গুরুতর ব্যাপারে নিজেরাই ফয়সালা গ্রহণ করতে পারেন? প্রথম অবস্থা গ্রহণ করিতে যদি আপনারা রাজী না হন, বরং দ্বিতীয় অবস্থাকেই দেশে বহাল রাখতে চান, তাহলে খোদার ওয়াস্তে বলছি এই সুযোগকে কিছুতেই হারাবেন না। আপনার ভোট পূর্ণ দৃঢ়তার সঙ্গে কেবলমাত্র সম্মিলিত বিরোধী দলের পক্ষে-মুহতারিমা ফাতিমা জিন্নাহর নামে-ব্যবহার করুন। এই সুবর্ণ সুযোগ যদি আপনারা হেলায় হারিয়ে ফেলেন, তা’হলে আপনাকে এবং আপনার ভবিষ্যৎ বংশধরদের এর কুফল দীর্ঘকাল পর্যন্ত ভোগ করতে হবে। আমি খোদার নিকট দোয়া করছি, তিনি যেন আমাদের সকলকে সঠিক ও নির্ভুল পথ দেখান এবং ভুল পথে যাওয়া থেকে যেন তিনি আমাদিগকে রক্ষা করেন-আমীন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ