ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

তাবলিগ জামায়াতের যোবায়ের পন্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:

আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর টঙ্গীতে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে তাবলিগ জামায়াতের যোবায়ের আহমদ পন্থীরা।

গত শনিবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে হামলায় নিরীহ তাবলীগের সাথী ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর অতর্কিত হামলায় হতাহতের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।খবর ইউএনবির।

বুধবার সকাল ১১টায় টঙ্গী প্রেসক্লাবে টঙ্গীস্থ উলামা মাশায়েখ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে হামলাকারীদের বিচারসহ ওই কর্মসূচির পাশাপাশি ৬ দফা দাবিও তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুফতি মুহাম্মদ আবু বকর কাসেমী।

এসময় তিনি জানান, আগামী শুক্রবার টঙ্গীর সকল মসজিদ থেকে বাদ জুম্মা শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত বক্তব্যে মুফতি মুহাম্মদ আবু বকর কাসেমী বলেন, গত ১ ডিসেম্বর শনিবার ইজতেমা মাঠে তাবলিগের সাথী ও মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর মাওলানা সা’দ অনুসারী বাংলাদেশের ওয়াসিফুল ইসলাম ও নাসিমগং এর কর্মীরা ইজতেমার ময়দানের গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটায়।

লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সময় প্রশাসনের ভূমিকা ছিল নীরব ও রহস্যজনক। পুলিশ দাঁড়িয়ে দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

সংবাদ সম্মেলনে যোবায়ের অনুসারী স্থানীয় আলেম মুফতী মাসুদুল করিম বলেন, সা’দ পন্থীরা বিনা উস্কানিতে ওই দিন যোবায়ের পন্থীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটায়।

তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা পরিচালনা করা হয় সূরা সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে। সূরা সদস্যদের কোনো মতামত ছাড়াই মাওলানা সা’দ নিজেকে আমির বলে দাবি করেন। অথচ কোনো পরামর্শসভাতেই তাকে আমির বানানো হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত ৬ দফা দাবি হলো- হামলার নির্দেশদাতা ওয়াসিফুল ইসলাম ও সাহাবুদ্দিন নাসিমসহ টঙ্গী ও উত্তরা থেকে নেতৃত্বদানকারী এবং হামলার সাথে জড়িত সকলকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান। আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। টঙ্গী ইজতেমা ময়দান এতদিন যেভাবে শুরাভিত্তিক তাবলিগের সাথী ও উলামায়ে কেরামের অধীনে ছিল তাদের হাতেই হস্তান্তর করা। অতিসত্তর কাকরাইলের সকল কার্যক্রম হতে ওয়াসিফ ও নাসিম গংদেরকে বহিষ্কার করা। সারাদেশে উলামায়ে কেরাম ও সূরাভিত্তিক পরিচালিত তাবলিগের সাথীদের ওপর হামলা-মামলা বন্ধ করে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। টঙ্গীর আগামী বিশ্ব ইজতেমা পূর্ব ঘোষিত প্রথম ধাপ, ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি এবং ২য় ধাপ ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি কার্যকরী করা।

এসব দাবি আদায়ে আগামী ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা টঙ্গীর সকল মসজিদ ও এলাকা হতে তৌহিদী জনতার অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়া সংবাদ সম্মেলনে।

এসময় তাদের ঘোষিত দাবি বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচিরে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জাকির হোসাইন, মুফতী মাসউদুল করীম, মাওলানা ইউনুস শাহেদী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মুফতী মুহাম্মদ আবু বকর কাসেমী, মাওলানা ইসমাইল ওরফে আলমগীর, মাওলানা আব্দুর রাকিব আকন্দ, মুফতী মুহাম্মদ ইয়াকুব, আলহাজ¦ মাওলানা ক্বেরামত আলী, মাওলানা ইকবাল মাসুম, মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম মল্লিক, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক, আবু উবাইদা, তারেক মাহমুদ, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ