শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা ততই বাড়ছে -সেলিম উদ্দিন

ঢাকা-১৫ আসনে ২০ দলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. শফিকুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক বাধাদান, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যসৃষ্টি, নির্বাচনী কর্মীদের মারধর, মামলা, গুম, অপহরণ ও নির্বিচারে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ এবং নিখোঁজদের সন্ধানসহ গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
গতকাল রোববার দেয়া বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা ততই বাড়ছে। তারা জুলুম-নির্যাতন, দলন-পীড়ন চালিয়ে গণরায় ছিনিয়ে নিতে চায়। আর আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ও দলীয় প্রশাসন সরকারের সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শত শত গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচনী ময়দানকে প্রতিপক্ষমুক্ত করতেই গায়েবী মামলার সূত্রধরে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও গুম করা হচ্ছে গণহারে। শুধু তাই নয় বিরোধী দলকে নির্বাচনী প্রচারণার ন্যুনতম সুযোগও দেয়া হচ্ছে না। এমনকি নির্বাচনী প্রচারণার সময় সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যুগপৎভাবে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা, মারধর, মামলা, অপহরণ ও গণগ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। গত ২০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ও ঢাকা-১৫ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর সমন্বয়ক ড. মুহা. রেজাউল করিমকে আটকের পর গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। 
তিনি বলেন, গতকাল সকাল ১১ টায় নির্বাচনী প্রচারপত্র বিলির সময় শেরেবাংলানগর মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে সাইফুল আলম ও সরওয়ার হোসেন নামে ২ নির্বাচনী কর্মীকে গ্রেফতার করেছে শেরেবাংলানগর থানা পুলিশ। মিরপুর ১৪ নং ভোটারদের কাছে স্লিপ বিতরণের সময় সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা এক পত্রিকা হকারকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর কাফরুল থানা যুবদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম লিটন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তপু, ১৪ নং ওয়ার্ডের যুবদল নেতা রনি হাওলাদার, মেহেদী হাসন ও মো. রোমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমতাবস্থায় নির্বাচনী ময়দানে বিরোধী দলের পক্ষে টিকে থাকায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই বতর্মান নির্বাচন কমিশন ও দলীয় প্রশাসনের কোন ভাবেই অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সম্ভবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে।    
তিনি আরও বলেন, অপশাসন-দুঃশাসনে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার এখন হামলা, মামলা, সন্ত্রাস, অপহরণ, নাশকতা ও  জুলুম-নির্যাতনকেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার মোক্ষম হাতিয়ার বানিয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবেই গোটা দেশকেই অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। কিন্তু এসব করে গণবিরোধী সরকার জনতার বিজয় ঠেকাতে পারবে না। তিনি নির্বাচনী গণসংযোগে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টি, হামলা, গুম, অপহরণ ও  গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে ঢাকা-১৫ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের সমন্বয় ড. মুহা. রেজাউল করিম ও কাফরুল থানা যুবদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম লিটন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি হাওলাদারসহ গ্রেফতারকৃতদের মু্িক্ত দাবি করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ