বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ইন্দোনেশিয়ায় আবারও অগ্ন্যুৎপাতে সতর্কতা জারি

২৭ ডিসেম্বর, ইন্টারনেট : ইন্দোনেশিয়ার আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির সরকার। গত সপ্তাহে এই আগ্নেয়গিরির ফলে সৃষ্ট সুনামিতে এখন পর্যন্ত ৪৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন ১৫৯ জন।

শনিবার উপকূলীয় শহর সুমাত্রা এবং জাভায় পর পর দুটি ঢেউ আঘাত হানে। প্রথম ঢেউ অতটা শক্তিশালী না হলেও দ্বিতীয় ঢেউটি ছিল ভয়াবহ। আনাক ক্রাকাতাও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাগরতলে ভূমিধসের কারণেই এই সুনামির উৎপত্তি। এর সঙ্গে পূর্ণিমার প্রভাব যুক্ত হওয়ায় বিপুল শক্তি নিয়ে সৈকতে আছড়ে পড়েছে সুনামির ঢেউ। নতুন করে আবারও সুনামির আশঙ্কায় আনাক ক্রাকাতাও আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সৈকত থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দেশটির আগ্নেয়গিরি ও ভূতাত্তিব দুযোর্গ সংস্থা জানায়, ক্রাকাউয়ের আগ্নেয়গিরি পরিস্থিতিতে ৩ মাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছে যা সর্বোচ্চ মাত্রা থেকে এক কম। এর নিকটবর্তী বিমান চলাচলের পথও পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে।

শনিবার সুনামির বিশাল ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত বাড়ি, বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন করে সুনামি হতে পারে, ধ্বংস হতে পারে আরও ঘরবাড়ি। অনেকেই এখন সরকার পরিচালিত শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত। ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত অঞ্চলটিতে প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর উত্তরাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু এলাকায় ৭.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভুমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারির ৩৪ মিনিট পর তা প্রত্যাহার করে নেয় ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা (বিএমকেজি)। ওই সুনামিতে প্রায় হাজার খানেক মানুষের মৃত্যুর পর তোপের মুখে পড়ে সংস্থাটি।

২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১৩ দেশের ২ লাখ ২৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি নিহত হয়েছিলেন শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই। ১৮৮৩ সালে এবারের আগ্নেয়গিরিটিরই অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি সুনামি হয়েছিল, যাতে প্রাণ হারিয়েছিল ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ