বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বিশাল জয়ে ঢাকা ডাইনামাইটসের শুরু

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ঢাকা ডাইনামাইটস : ১৮৯/৫ (২০ ওভার)
রাজশাহী কিংস : ১০৬/১০ (১৮.২ ওভার)
ফল : ঢাকা ডাইনামাইটস ৮৩ রানে জয়ী।
স্পোর্টস রিপোর্টার : বিপিএলের প্রথম দিনটা ঠিক জমলোনা। প্রথম দিনের প্রথম ম্যাচটা ছিল লো-স্কোরিং ম্যাচ। যে ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন রংপুরকে হারিয়ে জয় পেয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল দিনের শেষ ম্যাচটা হয়তো জমবে। অবশ্য দর্শকদের মাতিয়েই শুরু করেছিল ঢাকা ডাইনামাইটস। চার-ছক্কার ম্যাচে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে তুলে নিয়েছিল ১৮৯ রানের বিশাল স্কোর। তখন হয়তো দর্শকদের মনে হয়েছিল আসল বিপিএল তবে কি শুরু হলো দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই। কিন্তু দর্শকদের ভুল ভাঙ্গিয়েছে রাজশাহী কিংসের বাজে ব্যাটিং। রাজশাহীর এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিং দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলনা দর্শকরা। জয়ের জন্য ১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের দলটি অল আউট হয়েছে ১০৬ রানে। ফলে প্রথম ম্যাচেই ৮৩ রানের বিশাল জয় দিয়ে শুরু করেছে সাকিবের ঢাকা ডাইনামাইটস। এ জয়ের জন্য রাজশাহীর সামনে ১৯০ রানের টার্গেটটা যে কঠিল ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যে মোটেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেনা তা কি করে হয়। ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে রাজশাহী। ওপেনিং জুটিতে ব্যাট করতে নেমে  মোহাম্মদ হাফিজ আর মুমিনুল হক দলের শুরুটা ভালো করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি দলীয় ২৪ রানে মুমিনুলের বিদায়ে। সাকিবের বলে মিজানুর রহমানকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে মুমিনুল করেন মাত্র ৮ রান। ২৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটি আর বড় কোন পাটনারশীপই গড়তে পারেনি। একের পর এক উইকেট পতনে দলের জয়ের স্বপ্নটা প্রথম থেকেই ভেংগে যেতে থাকে। যদিও ওপেনার হাফিজের উপর নির্ভর করে শেষ ভরসা করেছিল দলটি। কিন্তু দলীয় ৫৬ রানে হাফিজ আউট হওয়ার আগেই আরো ৫টি উইকেট হারায় রাজশাহী। আর ২৯ রান করা হাফিজ মাঠ ছাড়ার পর দলটির আর কোন আসাই ছিলনা। শুধু একের পর এক উইকেট বিলিয়েই গেছে দলটি। ম্যাচে জয় তো দুরের কথা, ম্যাচে প্রতিদ্বন্ধীতাও করতে পারেনি রাজশাহী। দলের পক্ষে মোহাম্মদ হাফিজ ছাড়া কোন ব্যাটসম্যানই ভালো রান করতে পারেনি। তবে শেষ উইকেট জুটিতে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজ আর আরাফাত সানি মিলে নিশ্চিত পরাজিত ম্যাচে রানের ব্যাবধানটা শুধু কমাতে পেরেছে। আরাফাত সানি ১৮ আর মোস্তাফিজ করেন ১১ রান। কারন শেষ পর্যন্ত দলটি ১০৬ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচে হারে বিশাল ৮৩ রানের ব্যবধানেই। দলটি খেলতে পারেনি পুরো ২০ ওভার। ১০ বল বাকি থাকতেই অল আউট হয় দলটি। ঢাকার পক্ষে ঢাকার পক্ষে রুবেল হোসেন তিনটি আর মোহর শেখ নেন ২টি কওে উইকেট।  এরআগে,টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ১৮৯ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ঢাকা ডাইনামাইটস। দলের দুই বিদেশী হজরতউল্লাহ জাজাই আর সুনীল নারিন মিলেই দলটিতে বিশাল স্কোরে নিয়ে যায়। ব্যাট করতে নেমে এই দু-ব্যটসম্যান ওপেনিং জুটিতে ১১৬ রানের পার্টনারশীপ গড়ে দলকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখান। যদিও শুরু আর শেষের মতো মাঝের সময়টা ঠিক মতো ব্যাট করতে পারেনি দলটি। না হলে দু-শত রানের উপরেই যেতে পারত ঢাকার স্কোরটা। হজরতউল্লাহ আর নারিন প্রথম থেকেই বোলারদের উপর চড়াও হয়ে সমান তালে ব্যাট চালাতে থাকেন। এই জুটি ভাংগার আগেই দলটি পৌছে যায় ১১৬ রানে। সুনীল নারিনের বিদায়ে ভাংগে এই সফল জুটি। তবে মাঠ ছাড়ার আগে নারিন ৩৮ রান। ২৮ বলে চার বাউন্ডারি আর ২ ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল নারিন এই ইনিংসটি। অবশ্য নারিনের বিদায়ের পর বেশি সময় টিকে পারেননি হজরতউল্লাহও। দলীয় ১২৪ রানে ফিরতে হয় তাকে। তবে আউট হওয়ার আগে দলের পক্ষে খেলেন ৭৮ রানের ম্যাচ সেরা ইনিংস। মাত্র ৪১ বলে সাতটি চার আর ৭টি ছক্কা মেনে তিনি করেন ৭৮ রান। ওপেনিং জুটি ভাংগার পর হটাত ছন্দপতন দলের ব্যাটিংয়ে। ব্যাট করতে নেমে মোটেও ভালো করতে পারেননি সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান আর কিরন পোলার্ড। সাকিব ২ রান আর  কিরন পোলার্ড ৩ রান করে আউট হলে রানের গতিটা কমে যায় ঢাকার। তবে বাট করতে নেমে আন্ড্রে রাসেল আর শুভাগত হোম জুটি করে অপরাজিত ৫৩ রানের পার্টনারশীপ গড়ে দলকে শেষ পর্যন্ত ১৮৯ রানের বিশাল স্কোরে পৌঁছে দেয়। শুভাগত হোম ১৪ বলে ২৮ রানে  আর আন্দ্রে রাসেল ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। শুভাগত হোমের ২৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৪ বলে ৫চার আর ২ ছক্কায়। রাজশাহী কিংসের পক্ষে আরাফাত সানি নেন ২৩ রানে দুটি উইকেট।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ