বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বদ্বীপ পরিকল্পনার প্রথম ১০ বছরে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব

মুহাম্মদ নূরে আলম : বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এবং বাংলাদেশের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সম্মেলন আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি ঢাকার ফার্মগেট এলাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাপার সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইয়্যিদ, বাপার সহ-সভাপতি ড. নজরুল ইসলাম, বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, বাপার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, বেন অস্ট্রেলিয়া শাখার সমন্বয়ক কামরুল আহসান খান, বাপার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনু প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ কার্যনির্বাহী কমিটি (একনেক) “বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০” নামে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। জলবায়ূ পরিবর্তনের আলোকে বাংলাদেশের পানি এবং ভূ-সম্পদের উত্তম ব্যবহারের একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মকৌশল নির্ধারণ করাই এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। এই পরিকল্পনার অধীনে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পে প্রতি বছর দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২.৫ শতাংশ ব্যয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০৩০ সালে এর পরিমাণ দাড়াবে ৩০ বিলিয়ন ডলার। প্রস্তাবিত বিনিয়োগের এই আকার থেকেই পরিকল্পনার আকাঙ্খা ও গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা  বলেন, এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিশাল পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে অগ্রসর হওয়ার আগে তা নিয়ে জাতীয় ভিত্তিতে পর্যাপ্ত আলাপ-আলোচনা হওয়া একান্ত প্রয়োজন। তারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই পরিকল্পনা নিয়ে যে ধরনের যৌথ এবং জাতীয় ভিত্তিক আলোচনা হওয়া দরকার তা এখনো হয়নি। তাই এ ধরনের একটি আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্যই  প্রস্তাবিত সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।
সম্মেলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: ১. সরকার  প্রস্তাবিত ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ সম্পর্কে বাংলাদেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীকে অবহিত করা। ২. ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’  প্রণয়নকারীদের এই পরিকল্পনা দেশের পরিবেশ আন্দোলনের সদস্যবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের কাছে তুলে ধরা ও ব্যাখ্যা করার সুযোগ  প্রদান করা। ৩. প্রস্তাবিত ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ দলিলের ওপর দেশের ও বিদেশের বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনা পরিবেশনের সুযোগ  প্রদান। ৪. পরিবেশ আন্দোলনের সদস্যবৃন্দ এবং সমাজের সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিদের প্রস্তাবিত ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ দলিলের ওপর মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ দেয়া।
৫. সকলের আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রস্তাবিত বদ্বীপ পরিকল্পনার বিভিন্ন শক্তি এবং দুর্বলতা চিহিৃতকরণ এবং দুর্বলতাসমূহ দূরীকরণের মাধ্যমে আরো উপযোগী ও উন্নত বদ্বীপ পরিকল্পনায় উপনীত হওয়ার সহায়তা প্রদান করা।
বক্তারা বলেন, এই মহাপরিকল্পনা যাতে সঠিক হয়, তা নিশ্চিত করা একটি জাতীয় কর্তব্য বিধায় বাপা-বেনের  প্রস্তাবিত সম্মেলন সে কর্তব্য পালনের একটি সুযোগ করে দিচ্ছে। তাই সকলে এই সুযোগ গ্রহণ এবং ব্যবহার করে বাংলাদেশের বদ্বীপ প্রকৃতির সুরক্ষা এবং বিকাশের প্রয়াসে এগিয়ে আসবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। পার্বত্য চট্টগ্রাম, বরেন্দ্রভূমি এবং হাওর অঞ্চলসহ প্রায় সমগ্র বাংলাদেশকেই এই পরিকল্পনার আওতায় ধরা হয়েছে। পানি সম্পদ, কৃষি, মৎস্য, বনায়ন, নৌ পরিবহন, ইত্যাদিসহ অর্থনীতির ব্যাপক অংশ এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী: বাপা-বেন আয়োজিত অন্যান্য সম্মেলনের মতো এ সম্মেলনও হবে সকলের জন্য উন্মুক্ত। শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞদের সম্মেলন না হয়ে এ সম্মেলন হবে বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ এবং নদী আন্দোলনের সক্রিয় নেতা-কর্মী, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ এবং সাধারণ জনগণের যৌথ আলোচনা ও মত আদান-প্রদানের ক্ষেত্র।
বদ্বীপ মহাপরিকল্পনা কী এবং কেন? অবশেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ মহাপরিকল্পনা’ অনুমোদন করেছে। শত বছরের এ পরিকল্পনা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ এবং নেদারল্যান্ডসের বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের বিশ্বাস, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পরিষদ তথা এনইসি কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ায়  প্রথমবার পানিসম্পদকেন্দ্রিক এই মহাপরিকল্পনা জাতীয় মহাপরিকল্পনা হিসেবে গৃহীত হবে এবং জাতীয়  প্রতিশ্রুতি হিসেবে বাস্তবায়িত হবে।
পরিকল্পিত ১০০ বছরের প্রথম ১০ বছরে, অর্থাৎ ২০২০-৩০ সালের মধ্যে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই অর্থ ব্যয় হবে মোট ৮০টি প্রকল্পে। প্রস্তাবিত ৮০টি  প্রকল্পে এই টাকা খরচ করতে পারলে ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১০ শতাংশে উন্নীত হবে; অর্থাৎ অধম থেকে মধ্যম আর মধ্যম থেকে উত্তম হওয়ার দৌড়টা জোরদার হবে। জানা গেছে, পরিকল্পনা  প্রণয়নে দেশের ৮টি হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলকে ভিত্তি হিসেবে ধরে প্রতিটি অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির মাত্রায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একই ধরনের দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোকে অভিন্ন গ্রুপ বা হটস্পটে আনা হয়েছে। এভাবে দেশে মোট ৬টি হটস্পট [উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরা প্রবণ অঞ্চল, হাওর ও আকস্মিক বন্যা প্রবণ অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল, নদী ও মোহনা অঞ্চল, নগর অঞ্চল ও ক্রসকাটিং অঞ্চল (শেরপুর, নীলফামারী ও গাজীপুর জেলা)] চিহ্নিত করা হয়েছে।
এসব হটস্পটের পানিসম্পদ, ভূমি, কৃষি, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, খাদ্যনিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ভূ-প্রতিবেশ, নদীর অভ্যন্তরীণ ব্যবহার, ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্াস থেকে রক্ষা, পলি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, কৃষিতে পানির চাহিদা নিরূপণ ও সুপেয় পানি সরবরাহে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য ২৩টি প্রকল্প; বরেন্দ্র ও খরা প্রবণ অঞ্চলের জন্য ৯টি প্রকল্প, হাওর ও আকস্মিক বন্যা প্রবণ অঞ্চলের জন্য ৬টি প্রকল্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য ৮টি প্রকল্প, নদী ও মোহনা অঞ্চলের জন্য ৭টি প্রকল্প, নগর অঞ্চলের ১২টি প্রকল্প আর ক্রসকাটিং অঞ্চলের জন্য ১৫টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, এই তহবিলের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, পরিবেশ ও জলবায়ু-সম্পর্কিত তহবিল, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বকে (পিপিপি) বিবেচনা করা হয়েছে। আগেই বলা হয়েছে, পানিসম্পদ নিয়ে ১০০ বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনায় নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এই সমঝোতার আওতায় টেকসই বদ্বীপ ব্যবস্থাপনা, সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু অভিযোজনে সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে কারিগরি সহযোগিতা দেবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের ভাষ্য, এর আগে গৃহীত বিভিন্ন খাতভিত্তিক পরিকল্পনার আওতায় বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বন্যা মোকাবিলা, ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্াস থেকে রক্ষার জন্য দেশে অসংখ্য স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। এ স্থাপনাগুলো কার্যকর রাখা ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ অপরিহার্য ছিল। পরিকল্পনায় অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান না থাকায় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপ্রতুল অর্থ বরাদ্দ থাকার কারণে প্রয়োজনীয় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। স্থাপনাগুলোর সর্বোত্তম কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরিহার্য মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। এই মহাপরিকল্পনায় এর আগে নির্মিত ও নির্মিতব্য স্থাপনাগুলো সময়ে-সময়ে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
লেখক ও গবেষক গওহার নঈম ওয়ারা তাঁর এক গবেষণা প্রবন্ধে বলেন, নেদারল্যান্ডসের বদ্বীপ পরিকল্পনার আলোকে বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনাটি প্রণীত হয়েছে। সন্দেহ নেই নেদারল্যান্ডসের জন্য খুবই কার্যকরী এক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন আর রক্ষণাবেক্ষণের অভিজ্ঞতা তাদের আছে। কিন্তু দুই দেশের বাস্তবতাতেও ফারাক অনেক। নদীমাতৃক হলেও নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক জীবনধারা এক নয়। সে দেশের উপকূলে বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ নেই। বিস্তৃত উপকূল অসংখ্য ড্যাম ও ডাইক দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়েছে। এই ডাইকগুলো দিয়ে সাগর থেকে ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে, যা দেশটির মোট আয়তনের ৩ ভাগের  প্রায় ১ ভাগ; অর্থাৎ দেশটির ১-৩ ভাগ সমুদ্র সমতলের নিচে! ডাইকগুলো সমতলে লোনা পানির আগ্রাসন এবং স্থায়ী বন্যা প্রতিবন্ধক। এখানে ধান চাষ একেবারেই হয় না, খাদ্যাভ্যাস স্বল্প পানিনির্ভর কৃষিজাত গম, ভুট্টা, যব, আলু, দুধজাতীয় পণ্য (চিজ অ্যান্ড ব্রেড) ইত্যাদি। দেশটির বিস্তৃত মধ্যাঞ্চল শুধুই গবাদিপশুর সুবিশাল চারণভূমি। পুরো দেশের সমতলই কৃত্রিম খালের জটে এনে স্বল্প পানিনির্ভর কৃষিজাতের চাষ করা হয়। কাজেই সে দেশের ইঞ্জিনিয়ার-বিজ্ঞানীরা যতটা না শেখাবেন, তার চেয়ে অনেক বেশি শিখবেন।
তিনি আরও বলেন, উজানের দেশগুলোর সহযোগিতা ছাড়া বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আদৌ কতটা সম্ভব, তা সত্যিই এক বড় প্রশ্ন। গত ৯ নবেম্বর ২০১৭ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সহযোগিতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে সাহস করে বলেই ফেলেন, অববাহিকাভিত্তিক পরিকল্পনার পাশাপাশি উজানের দেশগুলোর সহযোগিতা ছাড়া ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাঁদের মতে, বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উজানের নদীর বিস্তর তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন।
নেদারল্যান্ডসের কারিগরি দলের প্রথম খসড়ায় বদ্বীপ পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলো এভাবে লেখা হয়েছিল: ১. বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন-সম্পর্কিত বিপর্যয় থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ২. পানি ব্যবহারে অধিকতর দক্ষতা ও পানির পর্যাপ্ততা বৃদ্ধি করা; ৩. সমন্বিত ও টেকসই নদী ও নদীমোহনা ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা; ৪. জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সেগুলোর যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা; ৫. অন্তঃদেশীয় ও আন্তদেশীয় পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর প্রতিষ্ঠান ও ন্যায়সংগত সুশাসন গড়ে তোলা এবং ৬. ভূমি ও পানিসম্পদের সর্বোত্তম সমন্বিত ব্যবহার নিশ্চিত করা। সুশাসনের বিষয় ৫ নম্বরে লেখা হলেও এটিই প্রধান শর্ত। নেদারল্যান্ডসের সফলতার জাদুকাঠি সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি। বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করার জন্য দেশের মাটি বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মতো বিবেকহীন বাতচিতের সুযোগ সেখানে নেই।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ