শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ন্যায্য বেতন নিরাপদ কর্মপরিবেশ দিন

স্টাফ রিপোর্টার : পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে এই সংঘাতের একটি ‘শান্তিপূর্ণ ও ন্যায্য’ সমাধান প্রত্যাশা করেছেন জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্জ।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক টুইটে তিনি বলেন, পুলিশের ধর্মঘটকারী গার্মেন্ট শ্রমিকদের দমন করা উচিত নয়। সমঝোতা করতে হবে কারখানা মালিকদের। ন্যায্য বেতন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ দিন। দুর্ঘটনার বীমা চালু করুন। সরকারের পেছনে গিয়ে লুকোবেন না।

আরেক টুইটে তিনি লিখেছেন, আমি এই সংঘাতের একটি শান্তিপূর্ণ ও ন্যায্য সমাধানের পক্ষে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতাদের অন্যতম জার্মানি।

‘ন্যায্য’ বেতনের দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, সরকার তাদের জন্য যে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দিয়েছে, মালিকপক্ষ সে অনুযায়ী বেতন দিচ্ছে না। বরং তাদের নানাভাবে ‘অন্যায়-অবিচারের’ শিকার হতে হচ্ছে।

তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করে গত ২৫ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে তা কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেখানে। অর্থাৎ জানুয়ারির বেতন নতুন কাঠামোয় পাবেন শ্রমিকরা।

কিন্তু গত রোববার ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখ বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকটি কারখানার পোশাক শ্রমিকরা। এরপর প্রতিদিনই তারা রাস্তা আটকে বিক্ষোভের চেষ্টা করছেন। সাভার, আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকরাও নামেন বিক্ষোভে, যা সংঘাতেও রূপ নেয়।

এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নতুন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান মঙ্গলবার বিকালে গার্মেন্ট মালিক, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, দেড় মাস আগে ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এরপরও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা, বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনের মতো চলছে তাদের আন্দোলন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ