বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ডিসেম্বর মাসে রাজনৈতিক সন্ত্রাস

মুহাম্মদ ওয়াছিয়ার রহমান : [সাত] ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর পুলিশ বিএনপির জেলা সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবীর সরকার ও সাবেক উপজেলা সভাপতি আব্দুল মোতালেবকে আটক করে। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর চৌমুরী বাজারে পুলিশ আওয়ামী লীগের গাড়িতে এসে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে বলে বিএনপি অভিযোগ করে। এ সময় বিএনপি প্রার্থী শরীফুল আলমের পা ভেঙ্গে দেয় এবং ৩ কর্মীকে আটক করে। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থেকে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীকে আটক করে। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থেকে পুলিশ বিএনপি দিওড়ী ইউনিয়ন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও মুকুন্দপুর বিএনপি নেতা গোলাপ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। 

১৪ ডিসেম্বর ফরিদপুরের মধুখালী পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন জাপানকে পুলিশ আটক করে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়রসহ ২ জন আটক। যশোরের চৌগাছা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লালসহ ৩ নেতাকে পুলিশ আটক করে। ঝিনাইদাহের মহেশপুর পুলিশ বিএনপি নেতা বগা গ্রামের মোশাররফ হোসেনকে আটক করে। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপি কর্মী সাইফুল ইসলামকে পোষ্টার লাগানোর সময় পুলিশ আটক করে। হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম কিবরিয়  চৌধুরী বেলালকে বাছিরগঞ্জ বাজার থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।  

১৫ ডিসেম্বর কুমিল্লার মেঘনায় বিএনপির হামলায় এক যুবলীগ নেতা আহত হয়। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুফি মিয়া, মছদ্দর আলী, আতাউর রহমান, আহাদ মিয়া ও যুবদল নেতা মোছাব্বির মিয়াকে পুলিশ আটক করে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে মথুরাপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, বিএনপি নেতা শরীফুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, মাসুদ শেখ, লাভলু আলী, বাঘা, আশরাফুল ইসলাম ও ছাত্রদল নেতা শিমুলকে আটক করে পুলিশ। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে বিএনপির মাইক প্রচার কালে পৌর শ্রমিক দল সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফকে পুলিশ আটক করে। পিরোজপুরের নাজিরপুর বিএনপি উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ.এ লাহেল মাহমুদকে পুলিশ আটক করে। কুমিল্লা জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এ্যাডঃ আব্দুল গফুর ভূঁইয়া জামিন নিতে ঢাকায় আসলে ডিবি পুলিশ হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করে। চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকা থেকে বিএনপি নেতা সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কীকে পুলিশ আটক করে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ৬ বিএনপি নেতা-কর্মী আটক। আটককৃতরা হলো- শ্রীনগর থানার পাটাভোগ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কাজী সৈয়দ মুক্তাকিন, বাড়ৈগাঁও ইউনিয়ন কর্মী হাফিজুল ইসলাম, বাঘড়া ইউনিয়ন কর্মী ইমরান, সিরাজদীখান যুবদল যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ নবী, রশুনিয়া ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শফিকুল ইসলাম বাদল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পুলিশ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলামকে আটক করে। মানিকগঞ্জের সুটারিয়া থেকে বিএনপি নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক, আরিফ খান স্বপন, আব্দুল মালেক, শওকত আলী, শামসুল আলম, মুন্নাফ, জামান, শাহীনুর আলী, সোহেল রানা, মোঃ আব্দুল মালেক, মিঠু, নাজিম উদ্দিন, আবুল কালাম, আব্দুল সা’দ, আব্দুস সোবহান সেন্টু, ফজলুল হক ও দুলালকে পুলিশ আটক করে। ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকা থেকে পুলিশ বিএনপির আশুলিয়া থানা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ রানা, ধামসামা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান ও শ্রমিক দল সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ ১০ জনকে আটক করে।   

১৬ ডিসেম্বর ভোলার বোরহান উদ্দিনে উদয়পুর রাস্তার মাথায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ। পরে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করে বিএনপি। ঢাকা-১৬ আসনে বিএনপি প্রার্থী আহসান উল্লাহ হাসানের স্ত্রী রিনা হাসানকে আটক করে পুলিশ। ১৭ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার কালিয়া থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কবিরুল হক মুক্তিসহ ১৭ জনকে পুলিশ আটক করে। চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে বিএনপির উপজেলা যুগ্ম-আহবায়ক গাজী নিজাম উদ্দিন ও বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীকে পুলিশ আটক করে। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে পুলিশ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৪ জনকে আটক করে। নওগাঁর পোরশা আটঘর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান শাহকে পুলিশ আটক করে। নওগাঁর পোরশা থেকে চেরাগপুর ইউনিয়ন বিএনপির ২ নেতাকে পুলিশ আটক করে। এখানে বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়। ঢাকার সাভারে আমিন বাজার এলাকায় বিএনপির প্রার্থীর প্রচারণায় আওয়ামী লীগের হামলায় ১০ জন আহত এবং পুলিশ বিএনপির কেরাণীগঞ্জ থানা ছাত্রদল সভাপতি শাহরিয়ার রাসেলসহ ৪ জনকে আটক করে। এ ছাড়া ৩টি মটর সাইকেল ও ২টি গাড়ি ভাংচুর করে। দিনাজপুরের বিরামপুরে মুকুন্দপুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইদুর রহমান, মামুনুর রশীদ ও নজির হোসেনকে আটক করে পুলিশ। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী পুলিশ দুওসুও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলামকে মহিষমারী গ্রাম থেকে আটক করে। 

১৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ শহর থেকে বিএনপি নেতা লালন মিয়া, হারুনুর রশীদ ও এনামুল হককে পুলিশ আটক করে। নওগাঁর ধামইরহাট থেকে পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম সরকারকে পুলিশ আটক করে। মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া থেকে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। নওগাঁর রাণীনগর থেকে যুবদল-ছাত্রদলের ৩ নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করে। ফেনীর সোনাগাজী পুলিশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টুকে আটক করে। বরিশালের উজিরপুরে বামরাইল বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের চুন্নু রাঢ়ী, যুবলীগের শাওন আলী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুজাহিদুল ইসলাম আহত হয়। পুলিশ বিএনপির মোঃ আলী ইসলাম ও আবুল হোসেনকে আটক করে। 

১৯ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে আটক করে। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জের নলতা বিএনপির অফিস থেকে ৫০ নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে পুলিশ উত্তর জেলা যুবদল সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদল সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম.এ বাশার ঝুলন ও পৌর ছাত্রদল যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ মামুনকে আটক করে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলালকে ডিবি পুলিশ জিইসি মোড় থেকে আটক করে। শেরপুর শ্রীবরদী পুলিশ রাণীমূল গ্রাম থেকে বিএনপির শফিউল আলমকে আটক করে। ময়মনসিংহের গফরগাঁও পুলিশ খুরশিদ মহল গ্রাম থেকে বিএনপির আলী নূর রশীদ ঢালী খোকনকে আটক করে। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম দাউদ ও উপজেলা ওলামা দল সভাপতি গোলাম মহিউদ্দনকে পুলিশ আটক করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাছিরনগর উপজেলা জাসাস নেতা সাখাওয়াত হোসেনকে আটক করে পুলিশ। রাজবাড়ির বরিয়াকান্দিতে পুলিশ বিএনপি নেতা এস.এম মিজানুর রহমান বিল্লালকে আটক করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ