চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ড. কামাল,আজ যাচ্ছেন এরশাদ

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন।গতকাল শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী হামিদা হোসেন।
এদিকে আজ রবিবার চিকিৎসার জন্য আবারও সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
গণফোরাম সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহ খানেক পরে ড. কামালের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ড. কামাল হোসেন সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। গণফোরামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক বলেন, চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে দেশের বাইরে যান ড. কামাল হোসেন। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় তিনি যেতে পারেননি। শনিবার রাতে তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন।
এর আগে গতকাল সকালে দলের মতিঝিল কার্যালয়ে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক বৈঠক শেষে ড. কামাল বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর এ দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন হয়ে গেছে ২৯ ডিসেম্বরই। জনগণ বলছে- তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এখন এ অসাংবিধানিকভাবে নির্বাচিতদের বিরুদ্ধে দেশ ও জাতিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সম্মিলিতভাবে এ অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তা হলে জনগণের বিজয় হবেই।’ গণফোরামের এ বৈঠকে আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য দলের কাউন্সিলের জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
জাতীয় পার্টির এইচএম এরশাদ। ছবি : ইত্তেফাক
এদিকে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যাত্রা করবেন বলে জানান জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়। তার সঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ আখতার, ছোট ভাই হুসেইন মোর্শেদ ও হুসেইন মোর্শেদের স্ত্রী রুখসানা খান মোর্শেদ। এরশাদ বার্ধক্যের পাশাপাশি রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া ও যকৃতের সমস্যায় ভুগছেন। সিঙ্গাপুরে তিনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন। ফলে আগামী ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হলেও বিরোধীদলীয় নেতার যোগদানের সম্ভাবনা সামান্যই বলে মনে করছেন পার্টির সিনিয়র নেতারা।