বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সব ধরনের দূষণ বন্ধের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সব ধরনের দূষণ বন্ধের দাবি জানিয়েছে, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারিসিক। পাশাপাশি ভেজালবিরোধী অভিযান শহরের বিপণিবিতানে সীমাবদ্ধ না রেখে মাঠ পর্যায়ে খাদ্য উৎপাদন পর্যন্ত প্রসারিত করার দাবি জানান তারা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কলাবাগানে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) কার্যালয়ে আয়োজিত 'দূষিত পরিবেশ : নিরাপদ খাদ্য ও জনস্বাস্থ্য' শীর্ষক সেমিনারের এ দাবি জানানো হয়। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, সম্পাদক আরিফ উজ্জ্বল, বারিসিকের সমন্বয়কারী পাভেল পার্ন, সামজিক আন্দোলনের প্রতিনিধি হুমায়ন কবীর হিরু প্রমুখ।

 সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিষমুক্ত খাদ্য আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এ আইন বাস্তবায়নে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যাত্রা শুরু করেছে। মোবাইল কোর্ট, মিডিয়া ও কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্যের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হলেও, এখনো কৃষি ও প্রাণীজাত উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যাপকভাবে বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ, খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিষাক্ত পদার্থের ব্যবহারের ফলে প্রায় সব খাদ্যেই বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি ব্যাপক। এছাড়াও মাটি-পানি-বাতাস দূষিত হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য। ফলে জনস্বাস্থ্যও হুমকিতে পড়ছে।

তারা বলেন, চারপাশের পরিবেশ নানাভাবে দূষিত ও বিপর্যস্ত। এ অবস্থায় সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্যের যোগান দেয়া সত্যিই দুরূহ কাজ। কিন্তু সকলের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই নিরাপদ খাদ্যর যোগান জরুরি। আর নিরাপদ খাদ্যের প্রাথমিক শর্ত হলো দূষণমুক্ত পরিবেশ। বক্তারা আরও বলেন, একজন ভোক্তা ও ক্রেতা হিসেবে প্রথমত আমরা খাদ্যকে নিরাপদ দেখতে চাই। নিরাপদ মানে ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক রাসায়নিকমুক্ত খাদ্য। এ অবস্থায় খাদ্য উৎস ও উৎপাদন স্থলকেই প্রথমত নিরাপদ করাটা জরুরি। এরপর খাদ্য সরবরাহ, পরিবহন, বিপণন, মজুতকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবেশন। জমির মাটি থেকে খাবার থালা পর্যন্ত খাদ্য নিরাপদ হওয়া জরুরি। আয়োজক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ যথাযত বাস্তবায়ন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় বাজেট বরাদ্দ, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়মিত খাদ্যের মান পরীক্ষা করে জনগণকে জানানোর ব্যবস্থা, মাঠ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সব পর্যায়ে খাদ্যকে কীটনাশকসহ সকল প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ