বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নারী-শিশু-কিশোরীদের নির্যাতনকারী দুর্বৃত্তদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে -ডা. শফিকুর রহমান

সম্প্রতি সারা দেশে নারী-শিশু-কিশোরী ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সারা দেশে নারী-শিশু ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গোটা দেশের জনগণের সাথে আমরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং শংকিত। দেশে আজ নারী ও শিশুর ইজ্জত-আবরুর কোনো নিরাপত্তা নেই।
গতকাল রোববার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে এক মহিলার স্বামীকে বেঁধে রেখে ধষর্ণের ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই আবার গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে সুবর্ণচরের পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। দেশে নারী-শিশু-কিশোরী অবাধে ধর্ষিতা হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্তরা নারী-শিশু-কিশোরীকে ধর্ষণ করছে।
তিনি বলেন, তদন্তে দেখা যায় সরকারি দলের লম্পট দুর্বৃত্তরা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় অবাধে ধর্ষণ ও হত্যার মত নৃশংস ঘটনা একের পর এক ঘটিয়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। ফলে ধর্ষকরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে। তারা ধর্ষিতাদের অভিভাবকদের মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং নাজেহাল করছে। ফলে নারী-শিশু-কিশোরী ধর্ষণ ও নির্যাতন মহামারী আকার ধারণ করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ সরকারি দলের ধর্ষণকারীদের সাহায্য-সহযোগিতা করছে এবং ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আমলে না নিয়ে ধামা-চাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি তাদের এ ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে, গত ২০১৮ সালে যৌন সহিংসতায় সারা দেশে ৪২ জন নারী ও শিশু নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ২৮৪ জন। গত জানুয়ারি মাসের ৩৩ দিনে ৪১টি ধর্ষণ ও ধর্ষণ অপচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। তাদের ২৯ জনই শিশু ও কিশোরী। উপরের তথ্য থেকেই বুঝা যাচ্ছে দেশে কি সাংঘাতিক অবস্থা বিরাজ করছে। বাস্তবে দেশে নারী-শিশু-কিশোরী ধর্ষণের যে সব ঘটনা ঘটছে তার সামান্য অংশই মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। বেশির ভাগ ঘটনাই অজানা থেকে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নারী-শিশু-কিশোরী ধর্ষণকারী দুর্বৃত্তদের বিচার না হওয়ার কারণেই নারী, শিশু-কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে। এ সব বন্ধ করতে হলে ধর্ষণকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। সেই সাথে দেশের জনগণকে নারী ধর্ষণ এবং নারী-শিশু-কিশোরীদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে।
তাই নারী-শিশু-কিশোরীদের নির্যাতনকারী দুর্বৃত্তদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ