শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজার বিরোধিতার জবাব দিলেন থাই রাজকন্যা

৯ ফেব্রুয়ারি, ইন্টারনেট : থাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ বিরোধিতা করলেও রাজকন্যা সিরিভাধানা বার্ণাভাদি নিজের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থিতার সিদ্ধান্তকে যথার্থই মনে করছেন। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, সবধরণের রাজমর্যাদা ত্যাগ করে তিনি এখন সাধারণ নাগরিকের মতো যাপন করেন। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হয়ে নিজের অধিকারের চর্চা করতে চান তিনি।

১৯৫১ সালে জন্ম নেওয়া উবোরাতানা রাজকন্যা সিরিভাধানা বার্ণাভাদি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির গ্রাজুয়েট। ১৯৭২ সালে এক আমেরিকান নাগরিককে বিয়ে করেন তিনি। বিদেশিকে বিয়ে করে রাজমর্যাদা ত্যাগ করেন। তবে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০০১ সালে থাইল্যান্ডে ফিরে তিনি রাজকীয় যাপনে অংশ নিতে শুরু করেন।  শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী পদে তিনি নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করলে থাই রাজপ্রাসাদের বিবৃতিতে রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ বলেন, লিখিতভাবে পদমর্যাদা ত্যাগ করলেও তিনি (রাজকন্যা) এখনও রাজমর্যাদা ভোগ করেন এবং রাজপরিচয় বহন করেন।

বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করা রাজকন্যা সিরিভাধানা বার্ণাভাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। থাই রাজপ্রাসাদের বিবৃতির জবাবে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব পদে প্রার্থী হয়ে একজন সাধারণ নাগরিকের মতোই তার অধিকারের চর্চা করতে চান তিনি। রাজকন্যা বলেন তিনি দায়িত্ব নিলে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন এবং তিনি থাইল্যান্ডের সব নাগরিকের সমৃদ্ধির প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল থাকবেন।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে সামরিক অভ্যুত্থানে ২০১৪ সালে  ক্ষমতাচ্যুত করার পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান ওচার অধীনে এবারই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। থাকসিন সিনাওয়াত্রার ছোট বোন ছিলেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা। বতর্মানে দুজনেই এখনও স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকলেও থাই রাজনীতিতে তাদের প্রভাব রয়ে গেছে। দেশের অনেকেই এখনও তাদের অনুগত। এমন পরিস্থিতে তাদের ঘনিষ্ঠ একটি দলের হয়েই নির্বাচন করতে নামার ঘোষণা দিয়েছেন রাজকন্যা সিরিভাধানা বার্ণাভাদি।

থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র অবমাননা আইন বেশ কঠোর। তবে কৌশলগতভাবে ‘লেস ম্যাজেস্টি’ নামের ওই আইনের আওতায় পড়েন না রাজকন্যা সিরিভাধানা বার্ণাভাদি। তা সত্ত্বেও থাইল্যান্ডে রাজপরিবারের সমালোচনা বেশ বিরল। দেশটিতে রাজপরিবারকে সম্মানের চোখে দেখা হয়। সে কারণে রাজার বিরোধিতায় তিনি প্রার্থিতার অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ