শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসের পথে সাঘাটার জমিদার বাড়ী!

গাইবান্ধা সংবাদদাতা : প্রায় আড়াইশ বছর অতিবাহিত হলেও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে  সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালীর জমিদার রাজেস কান্ত রায়ের জমিদার কাচারীবাড়ীটি। যে বাড়ীটিতে ছিল জমিদারী। জমিদারের কাছে নানা প্রয়োজনে প্রজাদের আনাগোনা। পরিবার পরিজন আর আগতদের পদভারে মুখরিত থাকত এই জমিদার কাচারীবাড়ীটি। দেশ বিভক্তের পর পরিবার নিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার প্রায় আড়াইশ বছর অতিবাহিত হলেও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাট ভরতখালীর জমিদার কাচারীবাড়ীটি। বাড়ীটির জানালা দরজা না থাকলেও অপরূপ কারুকাজে খচিত নিখুঁত গাঁথুনি আজও মন কাড়ে । কালের বিবর্তনে বাড়ীটির ভিতরে এখন শুধুই জঙ্গল আর অন্ধকার।
জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার সদর বোনারপাড়া থেকে ৭কি.মি পূর্ব উত্তরে মুক্তিনগর ইউনিয়নের ভরতখালীতে অবস্থিত তৎকালীন ওই জমিদারের এ বাড়ীটি সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং বাড়ীটি পেছনে আরোও একটি কাচারী বাড়ী ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, এর সঠিক ইতিহাস তারাও তাদের বাপদাদার কাছ থেকে শুনেছে। কথিত আছে, এলাকার বিশাল জমিদারীর কেন্দ্রবিন্দু ছিল এ কাচারীবাড়ী। এখানে প্রজাদের নিকট থেকে খাজনা আদায় করা হত। এলাকার বাসিন্দারা জানান, ভরতখালী এলাকার বিশাল জমিদারী একাংশে কাষ্টকালী মন্দির নির্মাণ করেন রাজা রাজেস কান্ত রায়। ঐতিহ্যবাহী ভরতখালী হাট, গো-হাট, কালীমন্দির এ সবই তার প্রচেষ্টায় স্থাপিত। ৭একর ২৮ শতাংশ জমি তিনি মন্দিরের নামে দান করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ