বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বেনাপোলে গাড়লের খামার করে মেহেদি হাসান স্বাবলম্বী

মসিয়ার রহমান কাজল বেনাপোল : চাকরি ছেড়ে উচ্চ শিক্ষিত যুবক মেহেদি হাসান গাড়লের খামার করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাগপুর অঞ্চলের ছোটানাগপুরি জাতের ভেড়ার সঙ্গে আমাদের দেশি ভেড়ার ক্রস ব্রিড। এই ক্রস ব্রিডের নামকরণ করা হয় ‘গাড়ল’। গাড়ল ৭-৮ মাস পর পর বাচ্চা দেয়। সংশ্লিষ্টদের অভিমত, বাণিজ্যিক ভাবে দেশে বেশি বেশি গাড়লের খামার গড়ে উঠলে মাংসের চাহদিা পূরণ করে বিদেশে রফতানি করাও সম্ভব হবে।
গাড়ল সাধারণত কাঁচা ঘাস, খড়, দানাদার খাবার, চিটাগুড়, পানিসহ নানা ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকে। কম্পিউটার প্রকৌশল বিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করে ঢাকার হেমায়েতপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন মেহেদী হাসান। সেখানে বছরখানেক চাকরি করে ‘বিডি কলিং ওয়েবসাইট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ডেভেলপার হিসেবে যোগ দনে। পরে চাকরি ছেড়ে দেখতে কিছুটা ভেড়ার মতো গাড়ল খামার করে মেহেদী এখন স্বাবলম্বী। যশোরের বেনাপোল র্পোট থানার শিকড়ী গ্রামের আঃ কাদেরের  ছেলে তিনি। ২০১৮ সালের জুন মাসে মেহেরপুর আট কবর এলাকা থেকে দুটি গাড়লের বাচ্চা ১৫ হাজার টাকায় কিনে শুরু করেন এই খটাল। এরপর ভারতের নাগপুর, কলিকাতা ও রাজস্থান থেকে আরো ৩৫টি ক্রস গাড়ল সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ৯০/১০০ টি গাড়ল রয়েছে। একটি ৩-৪ মাস বয়সী গাড়লের দাম ৫-৬ হাজার টাকা। র্পূণবয়স্ক গাড়লের ওজন ৬০ থেকে ৮০ কেজি র্পযন্ত হয়। গাড়লের মাংসের দাম প্রতি কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। উপজেলা পশুসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন টিকা বিনামূল্যে মেলে। বছরে চার বার কৃমির বড়ি আর দুইবার পিপিআর টিকা দিলে খামার রোগমুক্ত থাকে। এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ র্কমর্কতা ডা. জয়দেব কুমার সিংহ জানান, যশোরের র্শাশাও বেনাপোলে গাড়ল খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকে।এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। এ কারণে গাড়ল খামারের প্রতি অনেকেই আগ্রহী হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গাড়লের বাচ্চা সংগ্রহ করছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ