শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনায় খোলা আকাশের নীচে ১১৯ কোটি টাকার নন ইউরিয়া সার

খোলা আকাশের নীচে পড়ে আছে সার

খুলনা অফিস : বোরো ধানের ভরা মওসুম। নন ইউরিয়া সারের চাহিদা কম। তারপরও চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ নন ইউরিয়া সার আমদানি হয়েছে। এক বছর আগে সৌদি, কানাডা, বেলারুশ ও মরক্কো থেকে সার আমদানি করা হয়। বিএডিসি’র বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনার বয়রা ও রুজভেল্ট জেটি গুদামে ঠাঁই নেই। শিরোমণি, বয়রা, সাত নাম্বার ঘাট এলাকায় খোলা আকাশের নীচে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন ইউরিয়া সার রাখা হয়েছে। উল্লিখিত পরিমাণ সারের মূল্য ১১৯ কোটি টাকা। আরও ২০ হাজার মেট্রিক টন সার নিয়ে তিনটি জাহাজ এ মাসে মংলা বন্দরে ভিড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, বোরো মওসুমে চাহিদার প্রয়োজনে সৌদি থেকে ডিএপি, বেলারুশ ও কানাডা থেকে এমওপি এবং মরক্কো ও তিউনিশিয়া থেকে এক বছর আগে সার আমদানি করা হয়। বিএডিসি’র বাগেরহাট গুদামে ৪শ’ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে সাড়ে ৪শ’ মেট্রিক টন, সাতক্ষীরা গুদামে ৪শ’ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে সাড়ে ৫শ’ মেট্রিক টন, খুলনার বয়রা গুদামে আড়াই হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে ৩ হাজার মেট্রিক টন এবং রুজভেল্ট জেটি গুদামে ৩ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন নন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। এছাড়া সরকারি গুদামের বাইরে শিরোমণি, বয়রা ও সাত নম্বর ঘাট এলাকায় ৬৯ কোটি টাকার মূল্যের ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি, ২৬ কোটি টাকা মূল্যের ২০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি এবং ২৪ কোটি টাকা মূল্যের ১২ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি খোলা আকাশের নীচে রাখা হয়েছে।
বিএডিসি (সার) এর খুলনাস্থ যুগ্ম পরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ সার মজুদ করা হয়। আপদকালীন সময় সঙ্কট নিরসনের জন্যই মজুদ বাড়ানো হয়। ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখার কারণে নন ইউরিয়া সারের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে না।
তার দেওয়া তথ্য মতে, বেলারুশ থেকে সী ডলফিন নামক জাহাজ ১০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি, মরক্কো থেকে ভেনটেজ রিক নামক জাহাজ ৭ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি এবং সৌদি থেকে ময়ূরী নারী নামক জাহাজ ৩ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
সার আমদানিকারক এসএস শিপিং এর কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন জানান, ২০১৮ সালের বিভিন্ন সময় এসব সার খুলনার সাত নম্বর ঘাটে আনা হয়। আমদানিকারক এ প্রতিষ্ঠান গেল বছর ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করে।
অপর আমদানিকারক নওয়াপাড়া ট্রেডার্সের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, খোলা আকাশের নিচে সার রেখে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। এক বস্তা সার নষ্ট হলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। বিএডিসি’র গুদামে ঠাঁই না থাকায় তারা আমদানিকৃত সার বুঝে নিচ্ছে না। ফলে খোলা আকাশের নিচে মংলা বন্দরের স্থান ভাড়া নিয়ে সার রাখা বাবদ মাসে ৪৫ লাখ টাকা ভাড়া দিতে হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ