সিরিয়ায় আইএসের শেষ ঘাঁটি থেকে সরানো হলো বেসামরিকদের
২১ ফেব্রুয়ারি, বিবিসি : যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় জঙ্গীগোষ্ঠী আইএস দখলিকৃত শেষ ঘাঁটি থেকে বেসামরিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ১৫টি লরিতে করে নারী-পুরুষ ও শিশুদের বাঘুজ থেকে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তৃত অঞ্চল থেকে সরকারি বাহিনীকে সরিয়ে দিয়ে ‘খেলাফত’ ঘোষণা করে আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। তবে বিগত কয়েকমাসে ব্যাপক সামরিকস ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে সংগঠনটি। ইরাক ও সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রিত বিস্তৃত অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা। তবে ছোট ছোট কিছু এলাকায় এখনও নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে তারা।
আগেরদিনেই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান মিশেল ব্ল্যাশেত বলেছিলেন আইএসের হাতে অন্তত ২০০ পরিবার জিম্মি রয়েছে।
ওই স্থানে অভিযান চালানো সিরিয়ার বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স জানিয়েছে বেসামরিকদের মধ্যে করে কোনও আইএস যোদ্ধাও পালিয়েছে কি না তানিয়ে নিশ্চিত নন তারা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পর্যবেক্ষণ, বাঘুজ থেকে সব বেসামরিক পালাতে সক্ষম হয়েছেন। তারা জানান, জঙ্গীরাও এসডিএফের সঙ্গে সংলাপের পর আত্মসমর্পণে সম্মত হয়েছেন।
তবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের পক্ষ থেকে কোনও আইএসর আত্মসমর্পণের খবর নিশ্চিত করা হয়নি। এক টুইট বার্তায় তারা জানায়, এসডিএফ এখনও বেসামরিকদের সরাচ্ছেন আর আইএসের শক্তিশালী সেনারা এখনও বাঘুজে অবস্থান করেছ।
রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার মিশেল ব্ল্যাচেতের বক্তব্যের পর বাঘুজের সীমান্তে ৫০টি লরি একটি বহর পৌঁছায়। সারারাত সেখানেই ছিলো গাড়িগুলি। গত বুধবার লরিগুলো যাওয়ার আগে মার্কিন জোট দুটি হামলাও চালিয়েছে।