শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

তিন পানি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল ৭টি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) বাজারে থাকা অনুমোদিত ১০টি ব্র্যান্ডের কোম্পানির সাতটির লাইসেন্স স্থগিত ও তিনটির লাইসেন্স বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
লাইসেন্স স্থগিত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো, সেফ ইন্টারন্যাশনালের ‘ক্যানি’ ব্র্যান্ড (জার), সিনহা বাংলাদেশ ট্রেড লিমিটেডের ‘এ্যাকুয়া মিনারেল’ ব্র্যান্ড ( ছোট বোতল), এএসটি বেভারেজ লিমিটেডের ‘আলমা’ ব্র্যান্ডের ( ছোট বোতল), মেসার্স ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘সিএফবি’ ব্র্যান্ড (জার), মেসার্স ইউরোটেক ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির ‘ওসমা’ ব্র্যান্ড (জার), ইউনিটি এগ্রো বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজের ‘এপিক’ ব্র্যান্ড (জার) ও ফ্রুটস অ্যান্ড ফ্লেভার্সের ‘ইয়াম্মি ইয়াম্মি’ ব্র্যান্ড ( পেট বোতল)।
লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো হলো, আনন্দ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘আনন্দ প্লাস’ ব্র্যান্ড (জার), রিয়েল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘রিয়েল ফার্স্ট’ ব্র্যান্ড (জার), বেস্টওয়ান ড্রিংকিংয়ের বেস্ট ওয়ান।
বিএসটিআইর এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করার পর আদালত এ আদেশ দেন।
এরপর আদালত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন, পানি নিয়ে তাঁরা কী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সেটি আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে জানাতে হবে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি মো. মোখলেছুর রহমান। রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. জে আর খান রবিন। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম (ফরিদ)।
বিএসটিআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময়ের মধ্য ৬৯টি সার্ভিলেন্স টিম পরিচালনা করে ৩৩ হাজার ৫৭৫টি অবৈধ পানির জার জব্দ করে এবং ৬৫টি নিয়মিত মামলা করা হয়।
পরীক্ষার জন্য বাজার থেকে ২৮টি পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২টির প্রতিবেদনের মধ্যে ১২টি মানসম্মত ও ১০টি নিম্নমানের। এ ১০টিকে শোকজের পর তিনটি কোম্পানি জবাব দেয়নি। তাই তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাকি সাতটি শোকজের জবাব দিয়ে মান উন্নয়নের জন্য সময় চেয়েছে। এ কারণে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া লাইসেন্স না থাকায় ৩৬ কারখানার উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।
আইনজীবী মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম ফরিদ বলেন, ‘আজকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পক্ষভুক্ত হয়েছে। এরপর আদালত পানি নিয়ে আমাদের কার্যক্রম জানতে চেয়েছেন। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে।’
এর আগে ২১ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে ১৫টি ব্র্যান্ডের (জার ও বোতলের) খাবার পানি পরীক্ষা করে বিএসটিআই বলেছে পাঁচটি মানহীন।
গত বছরের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৭ মে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ