শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় দুই ডাক্তার দিয়ে চলছে ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ২৫ শয্যা হাসপাতালে দুই জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম। ফলে এই এলাকার প্রায় ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নির্ভর করছে মাত্র দুই জন ডাক্তারের ওপর। যে কারনে ভোগান্তির শেষ নেই রোগীদের।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্ব্যস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন চিকিৎসক খাতা-কলমে থাকলেও সাময়িক আদেশে এবং প্রেষণে মোট ৯ জন ডাক্তার তাদের সুবিধা মত চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে শতাধিক রোগীর ভিড়। তাদের স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক ডা. মুকবুল হোসেন। পাশের রুমে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. এলিচ আক্তার। সকালের শুরুতেই বহির্বিভাগে রোগীদের দীর্ঘ সারি নিয়ে রোগী দেখা শুরু করেন এ দুই ডাক্তার। আবার জরুরী বিভাগে মুমূর্ষু রোগী আসলে সেখানে দৌড়ে যান ইমার্জেন্সি রুমে। সেখানকার কাজ শেষ হলে আবারও ফিরে যান বহির্বিভাগে। ততক্ষণে রোগীদের ভীড় বেড়ে যায় অনেকখানি। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা দামুড়হুদার নতিপোতা এলাকার মজিবর রহমান (৬২) নামে এক বৃদ্ধা জানান, সকালে বহির্বিভাগে সেবা নিতে এসেছিলাম। প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অবশেষে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারি। জরুরী বিভাগের সামনে অপেক্ষারত জাহেরা বেগম, লিয়াকত আলী ও ফাতেমা খাতুন জানান, হাসপাতালটিতে চিকিৎসক সংকটে রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। চিকিৎসক কম থাকায় দূরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া আমাদের মত গরীব মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ স্বীকার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল জানান, হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসক, ইচ্ছা থাকলেও চাহিদা মতো সেবা দিতে পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি এই চিকিৎসক দিয়েই রোগীদের উন্নতর সেবা দিতে।

চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুল আলম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি জানানো হয়েছে। শিগগিরই খালি পদ পূরণ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ