শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

লড়াই করেই ফিলিস্তিনের কাছে হারলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার : লড়াই করেই ফিলিস্তিনের কাছে হারলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। গতকাল রোববার বাহরাইনে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ফিলিস্তিনের কাছে ১-০ গোলে হারলো জেমী’র শিষ্যরা। প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ন ম্যাচের প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৯২ ধাপ এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিন। বাহরাইনের কাছে হার দিয়ে শুরু হলেও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভাল খেলার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল লাল-সুবজ দলটি। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সাথে কুলিয়ে উঠতে পারেনি জামাল ভূইয়ারা। ফলে টানা দ্বিতীয় পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলার যুবরা।আগামী বছর জাপানের টোকিও অলিম্পিক গেমস ফুটবলে খেলার টিকিট পেতে এশিয়ার দেশগুলোর লড়াই শুরু হয়েছে শুক্রবার। বাহরাইনে চলমান গ্রুপ পর্বেও বাছাইয়ে লড়ছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব -২৩ ফুটবল দল। ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লড়াই করলেও স্বাগতিক বাহরাইনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয় হারের ফলে বাছাই পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বে আরো একটি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের।এই ম্যাচের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা।

চার দলের গ্রুপে দুই ফেভারিটের একটি ফিলিস্তিন। শুক্রবার রাতে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার জালে ৯ গোল দিয়ে তারা জানান দিয়েছে থাইল্যান্ডের টিকিট পাওয়ার অন্যতম দাবিদার ফিলিস্তিন।ফিফা র‌্যাংকিংয়েই পার্থক্যটা স্পষ্ট।

 ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের (১৯২) চেয়ে ৯২ ধাপ এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের (১০০) সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের অলিম্পিক ফুটবল দল আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল। ২০১৭ সালে ফিলিস্তিনের হ্যাবরনে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল ফিলিস্তিন। জাতীয় দল একাধিকবার মুখোমুখি হলেও ফলাফলটা ফিলিস্তিনের পক্ষেই।গত বছর ১০ অক্টোবর কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে ফিলিস্তিন নিজেদের শক্তি প্রমান করে গেছে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে। ঢাকা থেকে ট্রফিও নিয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটি।জাতীয় দলের লড়াইয়ে আগেও তিনটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন। ২০০৬ সালে ঢাকায় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল দুই দেশের প্রথম সাক্ষাতটি। ২০১১ সালে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হারিয়েছিল ফিলিস্তিন এবং ২০১৩ সালে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ১-০ গোলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি জয় পেয়েছিল।

উল্লেখ্য এশিয়ার ৪৭ দেশের মধ্যে পাকিস্তান, ভুটান, গুয়াম ও নর্দান মারিয়ানা ছাড়া সবাই অংশ নিচ্ছে অলিম্পিক ফুটবলের বাছাইয়ে। ১১ গ্রুপে ভাগ হয়ে বাছাই পর্ব খেলার পর প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন, সেরা ৪ রানার্সআপ দল ও আয়োজক থাইল্যান্ড খেলবে চূড়ান্ত পর্বে। আগামী বছর ৮ থেকে ২৬ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে হবে চূড়ান্ত পর্বের খেলাগুলো। সেখান থেকে শীর্ষ ৩ দল পাবে টোকিও অলিম্পিকের টিকিট।এএফসির এই যুব টুর্নামেন্ট ২০১২ সাল থেকে হয়ে আসছে। বাংলাদেশ কখনোই গ্রুপ পর্ব টপকাতে পারেনি। এমনকি এ পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে জয়েরও মুখ দেখেনি। ২০১৫ সালে ঢাকায় ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করতে পারাটাই এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ