ভক্ত-সমর্থকদের পাহারায় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
৭ এপ্রিল, এএফপি : ইকুয়েডর তাদের লন্ডন দূতাবাস থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে; উইকিলিকস-এর টুইটারে এমন আশঙ্কা প্রকাশের পর থেকেই দূতাবাসের সামনে ভীড় করতে শুরু করেন তার ভক্ত-সমর্থকরা। ইকুয়েডর এক বিবৃতিতে উইকিলিকস-এর দাবি অস্বীকার করেছে। তবে তাতে আস্থা নেই সমর্থকদের। অ্যাসাঞ্জকে বহিষ্কারের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা ত্যাগ করতে নারাজ। অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এসবিএস-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শুক্রবার দূতাবাসের সামনে অবস্থান নেওয়া সমর্থকরা শনিবারও সেখান থেকে সরেনি। তাদের শ্লোগানে জোরালো হচ্ছে বিকল্প সাংবাদিকতার এই পথিকৃতের মুক্তির দাবি।
২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৮ সালের জুনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, সে দেশের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুরক্ষার অবসান ঘটাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। উইকিলিকস একইরকমের অভিযোগ করে আসছে। অ্যান্ডি নামের এক অ্যাসাঞ্জ-সমর্থকও ভাবছেন, দূতাবাসের বাইরে এলেই তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। মার্কিন কূটনীতি ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের দায়ে তাকে যাবৎজীবন কারাদ- অথবা মৃত্যুদ- দিতে পারে। ‘ইকুয়েডর তো হুমকি দিয়েই রেখেছে। তারা যে কোনও মুহূর্তে অ্যাসাঞ্জকে বের করে দিতেই পারে।