শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সাবেক জাপা এমপি শওকত চৌধুরীকে স্ত্রীসহ দুদকে তলব

স্টাফ রিপোর্টার : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে নীলফামারী-৪ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ শওকত চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী মাহবুবা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সংস্থাটির উপপরিচালক নাসির উদ্দিন তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছেন।
শওকত চৌধুরীকে স্ত্রীসহ দুদকে ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। তিনি জানান, সাবেক এই সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে ১৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালে শওকত চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। ওই বছরের ১০ মে রাজধানীর বংশাল থানায় করা মামলায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক থেকে ১২০ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম। ৮ মে করা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুটি মামলায় শওকত চৌধুরী ছাড়া আরও যাঁদের আসামী করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্বে ছিলেন) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন, বংশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি, বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার কর্মকর্তা শিরিন নিজামী, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ কুমার ও এক্সিকিউটিভ অফিসার আসজাদুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি ও যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যাংকটির বংশাল শাখা থেকে ৯৩ কোটি কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২৩১ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে সুদে–আসলে সেটা দাঁড়ায় ১২০ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৯০ টাকা। প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক শওকত চৌধুরী।
অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক থেকে জালিয়াতির জন্য নানা কৌশল নেয় প্রতিষ্ঠান দুটি। ভুয়া মেয়াদি আমানত (এফডিআর) দেখিয়ে তার বিপরীতে ঋণ নেওয়া, বিটিআরসির একটি হিসাবকে জাল কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে নিজেদের দেখিয়ে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনসহ নানা প্রক্রিয়ায় ওই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।
৮ মে দুদকের করা মামলায় ওই দিন রাতেই পাঁচ ব্যাংকারকে গ্রেপ্তার করে দুদক। তাঁরা হলেন কমার্স ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন, বংশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি ও এক্সিকিউটিভ অফিসার আসজাদুর রহমান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ