বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক আবেদনের শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৯ মে দিন নির্ধারণ করেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আমরা আজ (মঙ্গলবার) একটা আবেদন করেছিলাম। শুনানিতে আমরা প্রার্থনা করেছিলাম যে, পূর্বের আদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনারসহ আরও পাঁচজনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখন যে জায়গাগুলোতে অবৈধ স্থাপনা আছে সে জায়গাগুলো মূলত বন্দরের অধীনে। এ জন্য আমরা বন্দরের চেয়ারম্যানকে একটি নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে একটি প্রতিবেদন দাখিলের আবেদন জানিয়ে শুনানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুনানি শেষে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তীরে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো সার্ভে রিপোর্ট ও আরএস খতিয়ান অনুসারে, ইতিপূর্বে দেওয়া ২০১৬ সালের ১৬ আগস্টের আদেশ অনুসারে উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।’
প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখলসংক্রান্ত  ২০১০ সালে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট দায়ের করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন।
সেই রায়ের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তবে তা কয়েকদিন চলার পর বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পুনরায় আবেদন করে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ