আগৈলঝাড়ায় ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ
আগৈলঝাড়া সংবাদদাতা : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এর মধ্যে ১৫টি বিদ্যালয়ের ভবনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে উপজেলা প্রকৌশল ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে আবেদন করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় ওই সকল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা ভীতির মধ্যে রয়েছে। এসব বিদ্যালয় ধ্বসে পরে যে কোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনার আশংকায় রয়েছেন তারা। অনেক সময় এসব বিদ্যালয়ের প্লাষ্টার খসে পরে শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছে। জরুরীভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলো পুনঃনির্মাণের জন্য দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পনেরশত নামে রয়েছে সরকারী ০৩টি বিদ্যালয়সহ ৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রচন্ডভীতির মধ্যে শিক্ষকরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান চালাচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো ১২ থেকে ১৫ বছর পূর্বে উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ থেকে নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণ কাজের সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে প্রকৌশল বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবার কারনে কাজগুলো নিন্মমানের হয়েছে বলে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। নির্মাণ কাজের সময় নিন্মমানের মালামাল ব্যবহার করায় কাজের গুণগতমান খারাপ হওয়ায় ওই বিদ্যালয়গুলো অতি তাড়াতাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। উপজেলার বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে উত্তর শিহিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব সুজনকাঠী, সেরাল, পূর্বসুজনকাঠী আইডিয়াল, পশ্চিম সুজনকাঠী, নাঘিরপাড়, দাসপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাংতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব আস্কর, বাগধা হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পয়সা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম আমবৌলা, ফেনাবাড়ি, চক্রবাড়ি, ও তালতারমাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৫টি বিদ্যালয় অধিকঝুঁকিপূর্ণ ও ১৩টি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণসহ ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।
উপজেলা প্রকৌশল ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে সংস্কারের জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানাবেন বলে জানান।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় আমাদের সন্তানদেরকে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি। তাদের বিদ্যালয় পাঠিয়ে প্রতিনিয়ত আতংকে থাকি যে কখন দুর্ঘটনা ঘটে। তারা জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলো পুনঃনির্মাণের জন্য দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে।
তারা আরও জানান, বিদ্যালয়গুলো অনেকবার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও কোন কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম তালুকদার জানান, উপজেলার ২৮টি বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করে সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। বরাদ্দ আসলে ওইসব বিদ্যালয় সংস্কার করা হবে।