চাঁদের ব্যাপারে ওআইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবিতে মুসলিম উম্মাহ সাংবাদিক সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার : মুসলিম উম্মাহ’র উদ্যোগে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সারাবিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে একই দিনে ঈদ ও রমজানসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে ওআইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন আলেম সমাজ।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তারা দাবি জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. এম এ কাশেম ফারুকী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, ওআইসি ফিকহ একাডেমিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. সাইয়েদ আব্দুল্লাহ্ আল-মারূপ, অধ্যাপক ড. এম শমশের আলী
তারা বলেন, কোরআন সুন্নাহ অনুযায়ী, বিশ্বে অভিন্ন দিনে ঈদ, রমজান, আশুরা পালনের বিধান রয়েছে। ওআইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট করা হতে পারে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বাংলাদেশে রমজান, ঈদসহ ধর্মীয় অন্য দিবস পালনে হিজরি মাসের তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হয় দেশের যে কোনো জায়গায় চাঁদ দেখাকে। সেক্ষেত্রে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের হিজরি মাসের তারিখের মিল থাকে না।
১৯৮৬ সালে স্থায়ী সদস্যদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি সিদ্ধান্ত নেয়, বিশ্বের যে কোনো দেশে চাঁদ উঠলেই স্থানীয় সময় অনুযায়ী একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন করার। কিন্তু ওআইসির সদস্য হলেও সেই সিদ্ধান্ত এখনো কার্যকর হয়নি বাংলাদেশে।
এর সমালোচনা করে শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে সারা বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে একই দিনে রোজা ও ঈদ পালনের দাবি জানান আলেমদের একটি অংশ। তারা বলেন, বিশ্বের অন্য মুসলিম দেশ ওআইসির সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও বাংলাদেশে এখনো তা কার্যকর হয়নি। একজন আলেম বলেন, কোরআন সুন্নাহ’র আলোকে বিশ্বব্যাপী ওআইসি’র ফিকাহ অ্যাকাডেমির মুফতিগণের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিব।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, কোরআন হাদিসে রোজা ও ঈদের ক্ষেত্রে চাঁদ দেখার বিধান থাকলেও তা নির্দিষ্ট কোনো স্থানে দেখার বাধ্যবাধকতা নেই। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, মুসলিম উম্মাহ কথাটা সারাবিশ্ব নিয়ে। ওআইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টে রিট করার ঘোষণা দেয়া হয় সাংবাদিক সম্মেলনে। সারাবিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন হলে মুসলিম বিশ্বের ভ্রাতৃত্ব জোরদার হবেও মন্তব্য করা হয় সাংবাদিক সম্মেলনে।