শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

শবে বরাতে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বেশি দামে গোশত বিক্রি

বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা : ভোর ৬টা উপজেলার তমালতলা বাজারে গোশতের দোকানে। গরুর গোশত প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, মহিষের গোশত প্রতি কেজি ৬০০ টাকা এবং খাসির গোশত ৭০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। মহিষের গোশত বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন প্রতি কেজি ৬০০ টাকা চাওয়ায় মাইনুল ইসলাম ময়না নামে একজন ক্রেতা দাম বেশী নেয়ার অভিযোগ করেন। কারণ তিনি খবর নিয়েছেন, উপজেলার দয়ারামপুর বাজারে মহিষের গোশত প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ‘কে শুনে কার কথা’। বিক্রেতা চড়া দামেই গোশত বিক্রি করছেন। বিক্রেতা দাম কমাবেন না শুনে আজাহার আলী নামে একজন ক্রেতা মহিষের গোশত নিতে দয়ারামপুর বাজারে গেলেন। কিন্তু সবার পক্ষে দয়ারামপুর বাজারে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় চড়া দামেই গোশত নিতে বাধ্য হয়েছেন বেশী সংখ্যক ক্রেতা। শবে বরাত উপলক্ষে নির্ধারিত হাটের দিন ছাড়াও যেমন গোশত বিক্রি করা হচ্ছে, তেমনি দামও নিচ্ছেন ইচ্ছে মতো। ক্রেতা আক্তার হোসেন জানান, গোশত বিক্রেতার কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। তারা ইচ্ছেমতো দাম হাকায়। প্রতি কেজি মাংসে ১০০টাকা বেশী নেয়াকে বাজার তদারকি না থাকাকে দায়ী করছেন ক্রেতা-ভোক্তারা।

নির্ধারিত দামের চেয়ে কেন চড়া দামে গোশত বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নে তমালতলা বাজারের বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন দাবি করেন, ‘বর্তমানে মহিষের দাম বেশী তাই কম নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সোচ্চার হওয়ার আন্দোলনকারী সংগঠন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব এর বাগাতিপাড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, ‘নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে কোন পণ্য বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করা দন্ডনীয় অপরাধ। গোশত বিক্রেতা চড়া দামে গোশত বিক্রি করে অপরাধ করেছেন। ওই গোশত বিক্রেতার বিরুদ্ধে ক্রেতাগণ অভিযোগ করায় তৎক্ষনাৎ ক্যাবের পক্ষ থেকে তাকে নির্ধারিত দামে গোশত বিক্রি করতে বুঝানো হয়েছে, তারপরেও তিনি একই অপরাধ করেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আশা উচিত।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু বলেন, অতিরিক্ত মূল্যে গোশত বিক্রির বিষয়টি শুনেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ