শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সাগরে ইলিশ ধরায় ৬৫দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি মৎস্যজীবীদের

পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা : ইলিশ শিকারে ৬৫দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন মৎসজীবীরা। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় পাথরঘাটা শহরের শেখ রাসেল স্কায়ারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে এ দাবি করেন জেলা মৎস্যজীবীরা।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেন মৎস্যজীবীরা।
জেলা মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আয়োজনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়। এ সময় বরগুনা জেলার মৎস্যজীবি ও জেলে মৎস্য ব্যবসার সাথে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক অংশ নেয়।
মানববন্ধনে জেলা মৎস্যজীবি ও মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে বক্তাব্য রাখেন, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন, কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যান আকন মো. শহিদ, পাথরঘাটা পোনা আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এনামুল হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময় জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মেনে চললেও নতুন করে ১৯৮৩ সালের মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মৎস্য আইনে মেরিন ফিশারিজ অর্ডিনেন্স এর সেকশন ৫৫ এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে রুলস ১৮ এর ২০১৫ সালের সংশোধিত ১৯ ধারা রেখে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। দুমাস নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় জেলেদের না খেয়ে জীবনযাপন করতে হবে বলে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বরগুনার জেলার জেলেরা সরকারের নিয়ম মেনে চললেও ট্রলিং জাহাজের জেলেরা ও মালিকরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মেনে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় এলাকায় এসে মাছ শিকার করে। এ সময় উপকূলীয় জেলেদের মারধরের অভিযোগও করছেন তারা। সুন্দরবন কেন্দ্রিক শ্বসস্ত্র জলদস্যূ বাহিনী ও পার্শবর্তী দেশের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছে এমন অভিযোগ তুলে সরকারের কাছে এ গুলো বন্ধের আহব্বান জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ