ভূমধ্যসাগরে ৩৭ বাংলাদেশী নিহতের খবর সঠিক -পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৩৭ বাংলাদেশী নিহতের যে খবর বেরিয়েছে তা সঠিক বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এছাড়া আরও ১৪ বাংলাদেশী জীবিত উদ্ধার হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। গতকাল রোববার দুপুরে মন্ত্রী তার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, দূতাবাসের একটি টিম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। যারা বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত হবেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। যাদের সলিল সমাধি হয়েছে তাদের ব্যাপারে কিছু করার নেই। তবে বাংলাদেশী কারো মৃতদেহ পাওয়া গেলে তাও দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে।
আবদুল মোমেন বলেন, অনেকদিন ধরেই দালালরা সাগরপথে লোকজনকে ইউরোপে পাচার করতে সক্রিয় রয়েছে। ত্রিপোলির অস্থিরতার কারণে দালালরা এই সুযোগ নিচ্ছে। তবে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কঠোর রয়েছে। কোনভাবেই যেনো বাংলাদেশীরা লিবিয়াতে যেতে না পারে সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। তবে দালালরা নানা কৌশলে ও প্রলোভনে অনেকের ফাঁদে ফেলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সম্প্রতি পাঁচ বাংলাদেশী অবৈধভাবে ইরাকে গিয়ে আটক হয়ে জেল-জরিমানার মুখোমুখি হয়েছেন। তাদের ফেরানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আদম ব্যবসায়ীরা লিবিয়াতে মানুষ পাঠিয়ে তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেন, মানব পাচার রোধে অভিবাসন বিভাগকে আরও শক্ত ভূমিকা নিতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ থেকে লিবিয়াতে লোক পাঠানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। সেকারণে অভিবাসন প্রত্যাশীরা বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে অন্য দেশ হয়ে লিবিয়াতে যায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিউনিসিয়ার স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে। লিবিয়াতে আমাদের মাত্র একজন লেবার কাউন্সিলার কাজ করছেন এবং তার পক্ষে এতজন লোকের দেখভাল করাটা মুশকিলের বিষয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে তিউনিসিয়া সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ৪৫ নটিক্যাল মাইল দূরে ৬৫ জন শরণার্থীসহ নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে। ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যাত্রী নেয়ায় নৌকাটি ডুবে যায়।