শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চার দশকের সবচেয়ে তীব্র খরার কবলে উ. কোরিয়া

১৬ মে, সিএনএন : বিগত প্রায় চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার কবলে পড়ার কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, এই বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশটিতে মাত্র ৫৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৯৮২ সালের পর এটাই দেশটিতে সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। সে বছর একই সময়ের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় ৫১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। মাসের শুরুতে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ায় মারাত্মক খাদ্য সংকটের কথা উঠে আসার পর তীব্র খরার কবলে পড়ার কথা জানালো পিয়ংইয়ং।

এ মাসের শুরুতে জাতিসংঘের এক যৌথ মূল্যায়নে বলা হয়, এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফলনের কারণে উত্তর কোরিয়ার প্রায় এক কোটি মানুষ মারাত্মক খাদ্য সংকটে পড়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার দূত কিম সং জরুরি খাদ্য সহায়তার আবেদন জানান। সংকটের কারণ হিসেবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করে থাকে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা।

পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। গত কয়েক বছরে এই নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে এক সম্মেলনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। বিনিময়ে নিরস্ত্রীকরণের অংশ হিসেবে নিজেদের মূল পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তবে কোনও ফলাফল ছাড়াই শেষ হয় ওই সম্মেলন।

বুধবার কেসিএনএ-এর খবরে বলা হয়েছে, মে মাসের শেষ পর্যন্ত খরা চলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে সে দেশের প্রধান সংবাদপত্র রোদং সিনমুন জানিয়েছে, দেশটির কর্মকর্তা এবং কর্মীরা পানির নতুন উৎস খোঁজার চেষ্টা করছেন আর কৃষির ক্ষতি কমাতে পানির নতুন উৎসে পাম্প ও সেচ সরঞ্জাম বসানোর চেষ্টা করছেন। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভয়ানক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে উত্তর কোরিয়া। ওই সময়ে দেশটির লাখ লাখ মানুষ মারা যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ