শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পাঁচ তরুণের উদ্ভাবন পায়ে হাঁটা রোবট

দেশের প্রথম পায়ে হাঁটা রোবট ‘লি’ উদ্ভাবনের দাবি করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ তরুণ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রাইডে ল্যাবে এই রোবটটি তৈরি করেছেন তাঁরা। গত ২৯ এপ্রিল দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনের নিচ তলায় রোবটটি উন্মুক্ত করা হয়।
ফ্রাইডে ল্যাবের টিম লিডার হিসেবে আছেন শাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী নওশাদ সজীব। তিনি এছাড়া টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন স্থাপত্য বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রুপক, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম ও জিনিয়া সুলতানা জ্যোতি।
টিমের সদস্য মেহেদী হাসান রুপক বলেন, ‘আমি রোবটের কাঠামো ডিজাইনের কাজ করেছি।’ টিমের আরেক সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আগের যে রোবট (রিবো) তৈরি করা হয়েছিল, সেটা হাঁটাচলা করতে পারত না। আমরা চেয়েছিলাম এমন একটি রোবট তৈরি করতে যেটা হাঁটাচলা করতে পারে।’
টিমের আরেক সদস্য জিনিয়া সুলতানা জ্যোতি বলেন,‘ এ রোবটে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংযুক্ত করেছি। ফলে রোবটটি বাংলায় কথা বলার পাশাপাশি চলাচল করতে পারে। এছাড়া হাত-পা নাড়ানো এবং অঙ্গভঙ্গি করতে পারে।’
রোবটের সার্বিক বিষয়ে শাবির সিএসই বিভাগের ২০০৯-১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী নওশাদ সজীব বলেন, ‘রোবট লি তৈরিতে গত তিন বছর ধরে আমি কাজ করছি। এর সঙ্গে জাভা ও পাইথন নিয়ে কাজ করা হয়েছে। আমাদের এ রোবট তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল রোবটকে হাঁটাচলা করানোর পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিচালিত করা। আমি মূলত রোবটের প্রোগ্রামিংয়ের অংশ নিয়ে কাজ করেছি।’
এদিকে আইসিটি ডিভিশনের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা অনুদানের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছি। তবে আমাদের এ রোবটকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে যে ধরনের উপাদান বা যন্ত্রপাতির দরকার, তা বাইরে থেকে আনতে হবে। যার জন্য আরো অনেক টাকার প্রয়োজন।’
রোবটের নামকরণ
বাংলা স্বরবর্ণ থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি লিপি হলো লি। যা দেখতে ৯-এর মতো ছিল। এ বর্ণটিকে স্মরণে রাখতে রোবটটির নামকরণ করা হয়েছে রোবট লি।
ফ্রাইডে ল্যাবের সদস্যরা ‘আমি লি, আবার আসিয়াছি ফিরে, রোবট হয়ে এই বাংলায়’ এ স্লোগানে এ রোবটের নামকরণ করেন।
- জি এম ইমরান হোসেন

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ