শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

খুলনা জেলায় দুই লাখ ৭০ হাজারের অধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

খুলনা অফিস : খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা, একটি সিটি কর্পোরেশন এবং দুইটি পৌরসভায় আগামী ২২ জুন দুই লাখ ৭০ হাজার দুইশত ৯২ শিশুকে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (প্রথম রাউন্ড) পালন উপলক্ষে খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর এই সভার আয়োজন করে। 

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইশরাত জাহান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুল আলীম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. সুবোধ কুমার কুন্ডু প্রমুখ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শরাফাত হোসেন। সভায় খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

এ বছর খুলনা জেলায় নয়টি উপজেলা, একটি সিটি কর্পোরেশন এবং দুইটি পৌরসভায় ৬ হতে ১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার আটশত ৪০ এবং ১২ হতে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৩৮ হাজার চারশত ৫২ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধের লক্ষে আগামী ২২ জুন দেশব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। ঐ দিন সকাল আটটা হতে বিকাল চারটা পর্যন্ত ছয়  হতে ১১ মাস বয়সী এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে বিনামূল্যে একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জন্মের পরপর এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয়মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিমানমতো সুষম খাবার খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা।  

স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি রেলস্টেশন, বাসটার্মিনাল, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটসহ জনবহুল স্থানে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকবে। ছয় হতে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে অসুস্থ শিশু ও বিগত চার মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন এ অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নিমূর্লের পাশাপাশি শিশুকে দীর্ঘ মেয়াদি ডায়রিয়া, রাতকানা, শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি ২৪ শতাংশ কমে যায়, হাম ও মারাত্বক অপুষ্টি হতে দূরে রেখে একই সাথে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ