শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গুজরাটে আঘাত না হেনে সাগরমুখী ঘূর্ণিঝড় বায়ু

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় নিজেদের মাছ ধরার নৌকা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন জেলেরা। ছবি: রয়টার্স

১২ জুন, রয়টার্স, এনডিটিভি : রাতের মধ্যে দিক পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় বায়ু গুজরাট উপকূলে আঘাত হানছে না বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। গত বুধবার দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড়টি সাগরের আরও ভিতর দিকে সরে গেছে বলে আবহাওয়া দপ্তরের বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।

বায়ু নামের এ ঘূর্ণিঝড়টি আগের পথ থেকে সরে গেলেও পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সাগর উত্তাল ও ঝড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভারতের পশ্চিম উপকূলে উচ্চ সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে আশঙ্কায় বুধবার গুজরাট ও কেন্দ্র শাসিত দিউয়ের উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে তিন লাখেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়। 

দুর্যোগ মোকাবিলায় ওই এলাকাগুলোতে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ৫২টি টিম মোতায়েন করা হয়।

কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতির ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখছে বলে এক টুইটে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার বিকালে গুজরাটের পোরবন্দর ও ভেরাভালের মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে ‘তীব্র ঘূর্ণিঝড়’ বায়ু স্থলে উঠে আসবে। কিন্তু পরে গুজরাটের আহমেদাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা মনোরমা মোহন্ত জানান, ঘূর্ণিঝড় বায়ু গুজরাটে আঘাত হানবে না। 

“বায়ু ভেরাভাল, পোরবন্দর ও দ্বারকার কাছে দিয়ে চলে যাবে। এ সময় উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ঝড় ও ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে,” বলেছেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে ৭০টি ট্রেনের সূচী বাতিল ও আরও ২৮টির যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করেছে। সতর্র্কতা তুলে না নেওয়া পর্যন্ত উপকূল বরাবর সব স্কুলে-কলেজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নৌবাহিনীর ডুবুরি দলগুলোকেও প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সারাদিনের জন্য পোরবন্দর, দিউ, ভাবনগর, কেশোদ ও কান্দলার বিমানবন্দরগুলোর সব ধরনের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর সুরাট বিমানবন্দরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বায়ু প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মুম্বাইয়ে প্রায় ৪০০ ফ্লাইটের কর্মসূচী বিঘ্নিত হয়েছে।

যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফ, কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও বিএসএফকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।

বুধবার থেকে গুজরাট উপকূলের সবগুলো সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলেদের ১৫ জুন পর্যন্ত সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পর্যটকদের দ্বারকা, সোমনাথ, সাসান ও কচ্ছ থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি।

ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার এক মাস পর ঘূর্ণিঝড় বায়ু সৃষ্টি হয়; সংস্কৃত ও হিন্দিতে ‘বায়ু’ বলতে বাতাস বোঝায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ