শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ঘিওরে সরকারি ধান ক্রয় বন্ধ ॥ বিপাকে কৃষক

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা : মানিকগঞ্জের ঘিওরে বোরো মওসুমে মাঝপথে থমকে আছে চাল সংগ্রহ অভিযান। ফলে এলাকার কৃষকরা ধান নিয়ে বিপাকে পরেছে। ধান বিক্রির জন্য অনেক কৃষক খাদ্য গুদামে এসে প্রতিনিয়ত ফিরে যাচ্ছেন। প্রতি বছর সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করলেও এখানে ঘটেছে তার উল্টা ঘটনা। কিন্তু ঘিওরে হঠাৎ দুই সপ্তাহ ধরে ধান ক্রয় করা বন্ধ হবার পর তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তালিকা নিয়ে বিতর্ক থাকায় ধান সংগ্রহ থমকে রয়েছে। প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও কৃষকরা সরাসরি ধান খাদ্যগুদামে বিক্রি করতে না পেরে ঘিওরের হাটে কমমূল্যে বিক্রি করছেন। গত ২ মে থেকে ঘিওরে বোরো ধান ক্রয় কেন্দ্র উদ্ধোধন করা হয়। ইউএনও মৌসুমি সরকার রাখী চাল ক্রয় উদ্ধোধনের পরে এক টন চাল ক্রয়ের পরে তিনি বিদেশে উচ্চতর লেখাপড়ার জন্য চলে যান। পরে ওসিএলএসডি শামসুন নাহার স্থানীয় মজুদদারদের কাছ থেকে ৩৬ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করায় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকসহ রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। মজুদদার ও দালালরা এলাকার কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে কৃষি কার্ড নিয়ে আসে। তাদের কার্ডের ওপর নির্ভর করে তারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন চুক্তির মাধ্যমে চাল গোডাউনে বিক্রি করে দেয়।  প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে কোনো রকম প্রতিবাদ করতেও সাহস পায় না। ফলে প্রকৃত কৃষকরা তাদের পাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে রহস্যজনক কারণে ঈদের ছুটি শেষ হবার পরেও পুনরায় ধান ক্রয় শুরু না হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকেরা ধান নিয়ে চরম অসুবিধার মধ্যে আছে।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বিপুল হোসেন বলেন, এ মওসুমে ঘিওরের সাত ইউপিতে ২৩২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু ঘিওরে ৬ হাজার ৪৩০ হেক্টর উপশী এবং ১৮০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড আবাদ হয়েছে। ধান প্রথমে ক্রয় শুরু হলেও তালিকা যাচাই বাছাইয়ের জন্য ধান ক্রয় বন্ধ হয়। উপজেলা খাদ্য অফিস, কৃষি অফিস ও ওসিএলএসডি অফিস ঘুরেও কৃষকদের তালিকা পাওয়া যায়নি। কিন্তু কয়েক দফায় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় কৃষকদের তালিকা করা হয়। সেই তালিকায় এলাকার অনেক কৃষকের নাম বাদ পরে যায়। ফলে অনেকেই তালিকা নিয়ে আপত্তি করে। পরে কৃষি বিভাগ ফের তালিকা করে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে জমা দিলেও সিদ্ধান্তের বেড়াজালে ঝুলে রয়েছে ধান কেনার কার্যক্রম।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, কৃষকদের তালিকায় গরমিল থাকায় আমরা আপত্তি করেছিলাম। এখন প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা তৈরি হয়েছে। মিটিংয়ে ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ