ইতিহাসের সিংহাসনে বঙ্গবন্ধুই সম্রাট- সৈয়দ আবুল মকসুদ
স্টাফ রিপোর্টার: ইতিহাসের সিংহাসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই সম্রাট। তাকে যারা ছোট করতে যাবে, তারা নিজেরাই ছোট হবে। এমন কথাই বলেছেন লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করা এবং এ নিয়ে বিতর্কের চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছুই নেই। স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার ও প্রতারণা অনেক বড় লজ্জার বিষয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) আয়োজিত ‘ইতিহাস বিকৃতি ও আমাদের দায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য তুলি হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন- আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন এবং লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট স্বদেশ রায়।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বে তো আর ১৪ বা ১৫ জন নেতা থাকে না। প্রধান নেতা একজনই থাকে। যার নেতৃত্বে চূড়ান্ত সংগ্রাম হয়েছে তিনিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার সঙ্গে আরও অনেকেই থাকবে- এটাইতো নিয়ম।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কার নেতৃত্বে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে কার অবদান সবচেয়ে বেশি- তা সবাই জানে। অন্য কারো অবদান বেশি থাকলে দু’চার জনের নাম বলেন। স্বাধীনতার শীর্ষ নেতাকে ছোট করার চেষ্টা অত্যন্ত হিংস্র ও জঘন্য মনোবৃত্তিরই বহিঃপ্রকাশ।
বিশিষ্ট এই কলামিস্ট আরও বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে শিক্ষিত সমাজের একাংশও জড়িত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই যে দেশ স্বাধীন হয়েছে তা বাংলাদেশের কোটি কোটি জনগণ জানে। এতে যতই কালিমা লেপন করার চেষ্টা করা হোক না কেন, তাতে কোনো লাভ হবে না।
সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জিয়াউর রহমান পাকিস্তান চেয়েছিল, বাংলাদেশ চায়নি। সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জয় বাংলাকে তেপান্তরে পাঠানোর মাধ্যমে। তিনি সমস্ত রাজাকার-আলবদরদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করলেন। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ শেষ করেছেন জয় বাংলা বলে। এরপরে তিনি আর কোনও কথা বলেন নাই। যারা জয় পাকিস্তান বলছে তারা সুযোগ সন্ধানী, উদ্দেশ্যমূলকভাবেই তারা এই কথাগুলো বলছে।
মিথ্যা প্রকাশ করা প্রকাশনীকে ব্যান্ড করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে, যারা চায়নি বাংলাদেশ স্বাধীন হোক, তাদেরকে উপদেশ দিয়ে কোনও লাভ নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর হতে হবে এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যারা এই ১৯৭১: ভেতরে ও বাহির বইটি ছাপিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনের সকল প্রক্রিয়া নেয়ার সুযোগ রয়েছে। যে প্রকাশনী সংস্থা এই মিথ্যা প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং প্রকাশনী সংস্থাকে ব্যান্ড করার দাবি জানাচ্ছি।