কেএমপির সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি : চলছে ব্লকরেইড
খুলনা অফিস : মহানগরী জুড়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বড় ধরনের যে কোন অপরাধ বা অপরাধীদের দমনে এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার থেকে জারিকৃত এ সতর্কতার অংশ হিসেবে নগরীতে শুরু হয়েছে ব্লকরেইড। এছাড়া অপরাধীদের দমনে নগরীর প্রবেশদ্বারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪০টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়াও মহানগরীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যে কোন ধরনের হামলা ও নাশকতা রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে এ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খুলনা মহানগরীতে কর্মরত তিন সহ¯্রাধিক পুলিশ সদস্যকে তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সকল পুলিশ সদস্যকে তাদের স্ব স্ব স্টেশনে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নগরীর তিন তারকা মানের সকল হোটেলগুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নগরীর মসজিদ, মন্দির, গীর্জাতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশপাশি সরকারী বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতেও পুলিশ প্রহরা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে অপরাধীরা যাতে কোন ধরনের অপরাধ ঘটানোর সাহস না পায় বা অপরাধ করলেও ধরা পড়ে সেজন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিসি টিভি লাগানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেএমপির পক্ষ থেকে। মহানগরীর যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি, সে সকল প্রতিষ্ঠানে আগামী সপ্তাহের তিন কর্ম দিবসের মধ্যে ক্যামেরা প্রতিস্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছে কেএমপি। বৃহস্পতিবার থেকে কেএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। অপরাধীরা যাতে নগরীতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য পুরাতন ২৭টি চেকপোস্ট এবং নতুন আরও ১৩টি চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির পিপিএম (সেবা) বলেন, মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ জাগ্রত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নগরীর সকল মানুষের নিরাপত্তা জাগ্রত করতে পারলে অপরাধ দমন সহজ হবে। খুলনা মহনগরীতে জঙ্গি হামলার কোন আশংকা আছে কি না এমন জিজ্ঞাসার জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক অবয়ব। কেউ বলতে পারবে না যে তার দেশে জঙ্গি আছে কি নেই। তবে কেএমপি যে কোন ধরনের অপরাধ দমনে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। অপরাধ এবং অপরাধীদের দমন করে নগরীবাসীকে স্বস্তি দেয়ার জন্য দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি সভা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ।