শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজাপুরে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণের ২৪ ঘণ্টা পরেই ভাঙ্গন

রাজাপুর (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের মিরের হাট বড়ইয়া নেয়ামতি সড়কের ৩০৯ নং চেইনের কলাকোপা রুস্তুম মাস্টারের বাড়ি থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত ১৩৮৫ মিটার রাস্তায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে পাকা সড়ক নির্মাণের ২৪ ঘন্টা পরেই ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনার ২ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা পরিদর্শনেও যায়নি কেউ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে জেলার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইআরআইডিপি-২) দাতা সংস্থার অর্থায়নে উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের মিরের হাট বড়ইয়া নেয়ামতি সড়কের ৩০৯ নং চেইনের কলাকোপা রুস্তুম মাস্টারের বাড়ি থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত ১৩৮৫ মিটার (প্যাকেজ নং- আইআরআইডিপি-২ জেএলকে-বিডব্লিউ-৪০) পাকা সড়ক নির্মাণের জন্য ৬৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮ শত ৭০ টাকা ব্যয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) একটি দরপত্র আহ্বান করে। পরে দরপত্রের মাধ্যমে ঝালকাঠির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ ৬২ লক্ষ ০৪ হাজার ৪ শত ৮৩ টাকা টাকা ব্যয়ে নির্মাণের জন্য দায়িত্ব পায়। অথচ রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সম্পন্ন না করায় এ পথে চলাচলকারী পথচারী ও মালামাল আনা-নেয়ায় স্থানীয়দের দারুন বিপাকে পরতে হয়। বহুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর সম্প্রতি বৃষ্টির মৌসুমে দায় সারা কাজ শেষ করে গত ৫ জুন ২০১৯ শুক্রবার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম সহ লোকজন চলে যায়। ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নব নির্মিত রাস্তার একাংশে ধ্বংস হয়ে চলাচল করার অনুপযোগী হয়ে পরে। কোথাও কোথাও রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। কোন কোন স্থানে সরে গেছে দুই পাশের মাটিসহ কার্পেটিং। ওই অবস্থায় সড়কটি দিয়ে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর। এ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির সার্ভেয়ার মোঃ সোহানুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঐ এলাকার লোকজন কালবার্ড এর নিচ আটকিয়ে রাখার কারণে পানি চলাচল না করতে পারায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ এর প্রোপাইটর সৈয়দ মিলন জানান, কাজটি মানসম্মত করা হয়েছিলো। কিন্তু আমাবশ্যার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি ও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাস্তা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষা মৌসুম গেলে সংস্কার করা হবে।  এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। পানির চাপ একটু কমলেই রাস্তাটি সংস্কার করে ঠিক করে দেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ