হাজাছড়া ঝর্ণা
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গোপ সাগরের কোল ঘেষে ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশ।অপরূপ প্রাকৃতিক শোভামণ্ডিত আমাদের এই বাংলাদেশ।পাহাড়, নদী, বন, দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ আর বৃক্ষলতায় আচ্ছাদিত সবুজে ঘেরা এক খন্ড বাংলাদেশ।
এই ছোট্ট দেশেরই অনেক বাসিন্দা আছেন যারা বিশ্বভ্রমণ করে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু নিজের দেশটিকেই হয়তো ভাল করে দেখা হয়নি।এদের সম্পর্কেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন:
বহু দিন ধ’রে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।
হাজাছড়া ঝর্ণাটি রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক পাহাড়ি ঝর্ণা । সাজেকগামী পর্যটকদের কাছে বর্তমানে ঝর্নাটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
হাজাছড়া ঝর্ণা রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট এলাকায় অবস্থিত। মূল রাস্তা হতে ১৫ মিনিট ঝিরিপথ ধরে হেঁটেই পৌঁছানো যায় ঝর্ণার পাদদেশে। ঝর্ণার হীমশিতল পানি আর সবুজেঘেরা ঝিরিপথ পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। শীতকালে এর পানির প্রবাহ কমে যায়।
নামকরণ
হাজাছড়া নামক এলাকা হতে ঝর্ণার উৎপত্তি বিধায় এর নাম হাজাছড়া ঝর্ণা। এটি শুকনাছড়া ঝর্ণা বা দশ নাম্বার ঝর্ণা নামেও পরিচিত। ঝর্ণাটির স্থানীয় পাহাড়িদের দেয়া নাম হল চিত জুরানি থাংঝাং ঝর্ণা ; যার অর্থ মন প্রশান্তি ঝর্ণা।
গিরিপথ
সর্তকতা
বর্ষার সময় গিরিপথে ঝর্ণার পানি তুলনামূলক বেড়ে যায় এবং পথ কর্দমাক্ত থাকে। তাই পর্যটকদের ভালো মানের গ্রিপযুক্ত ট্র্যাকিং জুতা ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয় এবং সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়।এছাড়া পাহাড় ধসেরও আশংকা থাকে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় গোলযোগ দেখা দেয়।তখন প্রশাসন পাহাড়ী এলাকায় ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
ডিএস/এএইচ